আমরা এই পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত ব্যস্তই থাকি, কিন্তু সফল মানুষদের মতো কিছু করার সুযোগ কেন পাই না।
আমাদের পার্থক্যটা কোথায়? তারা কি এমন করে যা আমরা করি না?
ইউ.এস.এ. তে এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, আমরা প্রতি সপ্তাহে ৪৫ ঘণ্টা করে কাজ করি, কিন্তু এর ভেতর ১৭ ঘণ্টাই সম্পূর্ণ আন-প্রডাক্টিভ কাজ করি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এইটা আরও বেশি।
এই আন-প্রডাক্টিভ সময়ে আমরা এমন কিছু কাজ করি যা আমাদের ভালো কিছু দেয় না। কিন্তু এই সময়কে ভালো ভাবে কাজে লাগাতে পারলে আমরা আরও একটু স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারতাম।
সে যাইহোক, আজকে আমরা জানবো সফল মানুষরা যে সকল কাজ প্রতিদিন করে, এবং কীভাবে আমরা এই আন-প্রডাক্টিভ কাজ কমিয়ে সফল মানুষদের মত নিজেদের প্রডাক্টিভ কাজে সংযুক্ত করবো।
সফল মানুষ নিয়মের বাইরে নয়, আবার জীবনটাকে রোবটও করে ফেলেন না। তারা সঠিক সময় সঠিক কাজ, সঠিক ডিসিশন এবং সঠিক নিয়ম মেনে সব কিছু করেন।
আপনাকে দেখতে এই স্পেশাল গুনের কতোগুলো আপনি আপনার জীবনে প্রয়োগ করতে পারছেন। তাহলে আপনি এগিয়ে যাবেন এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
আসুন আমরা আমাদের জীবনকে আরও সুন্দর করি, নিজেদের উন্নতি করি, মানুষকে সেবা করি, নিজের দেশের সেবা করি।
ধন্যবাদ সবাইকে স্পেশালি আই,টি সরদার ভাইকে
আমার সকল পোষ্টের আপডেট পেতে আমার ফেসবুক পেজ এ লাইক দিন,
ফেসবুকে আমি "BloggerSourab.Com"
আমাদের পার্থক্যটা কোথায়? তারা কি এমন করে যা আমরা করি না?
ইউ.এস.এ. তে এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, আমরা প্রতি সপ্তাহে ৪৫ ঘণ্টা করে কাজ করি, কিন্তু এর ভেতর ১৭ ঘণ্টাই সম্পূর্ণ আন-প্রডাক্টিভ কাজ করি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এইটা আরও বেশি।
এই আন-প্রডাক্টিভ সময়ে আমরা এমন কিছু কাজ করি যা আমাদের ভালো কিছু দেয় না। কিন্তু এই সময়কে ভালো ভাবে কাজে লাগাতে পারলে আমরা আরও একটু স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারতাম।
সে যাইহোক, আজকে আমরা জানবো সফল মানুষরা যে সকল কাজ প্রতিদিন করে, এবং কীভাবে আমরা এই আন-প্রডাক্টিভ কাজ কমিয়ে সফল মানুষদের মত নিজেদের প্রডাক্টিভ কাজে সংযুক্ত করবো।
সফল মানুষদের ব্যতিক্রম ৭ কাজঃ
যারা সফল মানুষ তারা তাদের কাজের প্রিয়োরিটি অনুসারে কোন কাজ কখন করবেন তার পরিকল্পনা করে রাখেন To Do লিস্ট আকারে। তারা তাদের সঠিক ম্যানেজমেন্ট করে ফেলেন। তারা সফল হয়েছে বলেই যে এটা করছে তা নয়। তারা এমন পরিকল্পনা করে কাজ করেন বলেই তারা আজ সফল। তারা যেদিন থেকে পরিকল্পনা করেছেন ভালো কিছু করবেন সেদিন থেকেই এই নিয়ম মেনে চলছেন। তারা নিজের কাজের ভেতর অন্য কিছু ভেবে রাখেন না। তারা কাজের গুরুত্ব অনুসারে না বলতে শিখেছেন। তাদের নিয়মের বাইরের কাজে তারা প্রতিনিয়ত পিছিয়ে গেছেন পরিকল্পনা করে। ভালো কাজের সাথে সময় দিছেন তাও সময় অনুসারে।
২) প্রিয়োরিটি অনুসারে কাজ করেনঃ
সফল মানুষ আমাদের মতোই সব কাজ, ইভেন্টে থাকেন। তবে প্রিয়োরিটি অনুসারে তাদের কাজের একটি গোছানো লিস্ট আছে। তারা ভাবেন তার কোন কাজ না করলেই নয়, আর কোন কাজ অবসর সময়ে করলেও সমস্যা নয়। যেকারনে তারা আমাদের মতো সব জায়গাতেই আছেন, কিন্তু তাদের প্রয়োজনীয় কাজে তারা কখনও পিছুপা থাকেন না। কিন্তু আমরা সেটা না করে অগোছালোভাবে যেটা সামনে আসে সেটাই করতেই থাকি। সেহেতু অবশ্যই প্রিয়োরিটি অনুসারে কাজ করুন।
৩) সময় ঘাতক ঠিক করে ফেলেনঃ
আমাদের এই যুগে সব জায়গায় সমান পদচারনা চাই। যেমন সোশ্যাল সাইট আমাদের যেমন থাকতে হবে তেমনি বিভিন্ন ব্লগ বা ফোরামে। সেই সাথে নিজের দৈনন্দিন কাজও করতে হবে ব্যবসায়িক বা চাকরির সাথে সাথে। এই সফল মানুষগুলোকে আপনি সব জায়গায়ই সমানভাবে দেখতে পাবেন। তাহলে এতোটা কীভাবে করে উঠেন তারা। কারণ তারা সময় খাদককে চিনতে ভুল করেন না। এই সোশ্যাল মিডিয়া বা মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেট আমাদের বড় সময় খাদক। আমরা এখানে সারাদিন পার করতে পারি, যা কখনও প্রয়োজন না। সেহেতু এই সফল মানুষ জাস্ট তাদের প্রয়োজনের জন্য সবার কাছে যেতে ১/১.৩ ঘণ্টা সময় এই সব কাজে ব্যয় করেন। প্রয়োজনে একটু বেশি। কিন্তু তারা কখনও এই সময় খাদককে তাদের মূল্যবান সময় নষ্টের জন্য রাখেন না। তারা পারফেক্টলি সব কিছু নির্দিষ্ট সময় করে করে ফেলেন।
৪) সম্পূর্ণ নির্ভুল কাজে তারা বিশ্বাসী নয়ঃ
অনেকের নিজের পছন্দমতো কাজের মূল্য বেশি দেন। যেকারনে সব সময় নিজেই সব কাজ করতে চান। কারণ নির্ভুলতার ভয়ে। কিন্তু যারা সফল মানুষ তারা জানেন সব কাজ আমি করে উঠতে পারবো না। আমাকে কিছু কাজ ছাড়তেই হবে। না হলে আমি পিছিয়ে যাবো। যেকারনে তারা টিম করে কিছু কাজ করে নেন। তাতে একটু ভুল থাকলেও। যেটা তাদের উন্নতির প্রধান সিঁড়ি হয়ে দাঁড়ায়।
৫) মুড এবং আবেগের প্রতি নিয়ন্ত্রণঃ
কোন মানুষ আবেগের বাইরে নয়, কিন্তু সুসফল ব্যক্তিগুলার এই মুড এবং আবেগের প্রতি অগাধ নিয়ন্ত্রণ থাকে। তারা যানে যেটা ঘটার সেটা ঘটবেই। এজন্য আপসোস করে কোন লাভ নাই। নতুন করে পূর্ণ উদ্যমে শুরু করায় তার এখন দায়িত্ব। তারা নিজেদেরকে অনেক বেশি নিজের করে রাখতে পারেন। সাময়িক ক্ষতি যে সারা জীবনের জন্য নয় এটা তারা খুব সহজে বুঝতে পারেন এবং তা তা মেনে নিতে পারেন।
৬) সঠিক কাজ এবং জীবনের ব্যালেন্সঃ
কাজ এবং জীবন একে অন্যের সাথে চলে, সেহেতু কোনটাই বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। যারা সফল মানুষ তারা যেমন নিজের কাজকে সঠিক সময় দিচ্ছেন, তেমনি নিজের ব্যক্তিগত জীবনকেও অবহেলা করছেন না। অত্যধিক কাজ যেমন আমাদের পিছিয়ে দিতে পারে, তেমনি কম কাজ আপনাকে লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ করতে পারে।
সেহেতু আপনাকে সব দিকে সমান পারদর্শী হতে হবে। কোনটা ছেড়ে কোনটা নয়। এই উপলব্ধি সফল মানুষের আছে।
ঘুম মানুষের সুস্থ থাকার জন্য খুব প্রয়োজনীয়। পর্যাপ্ত ঘুম ছাড়া কেউ ভালোভাবে কাজ করতে পারে না। যেকারনে এই সফল মানুষ ৭-৯ ঘণ্টার যে ভালো ঘুমের প্রয়োজন তা ঠিক ভালোভাবে করে ফেলেন। পর্যাপ্ত ঘুম ছাড়া যেমন নতুন কাজে সফল হওয়া যায় না, তেমনি সুন্দর স্বাস্থ্য হওয়াও সম্ভব না।
সফল মানুষ নিয়মের বাইরে নয়, আবার জীবনটাকে রোবটও করে ফেলেন না। তারা সঠিক সময় সঠিক কাজ, সঠিক ডিসিশন এবং সঠিক নিয়ম মেনে সব কিছু করেন।
আপনাকে দেখতে এই স্পেশাল গুনের কতোগুলো আপনি আপনার জীবনে প্রয়োগ করতে পারছেন। তাহলে আপনি এগিয়ে যাবেন এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
আসুন আমরা আমাদের জীবনকে আরও সুন্দর করি, নিজেদের উন্নতি করি, মানুষকে সেবা করি, নিজের দেশের সেবা করি।
ধন্যবাদ সবাইকে স্পেশালি আই,টি সরদার ভাইকে
আমার সকল পোষ্টের আপডেট পেতে আমার ফেসবুক পেজ এ লাইক দিন,
ফেসবুকে আমি "BloggerSourab.Com"