জিতলে লাভ হতো না। ড্র হলে ‘লস’। তবে হেরে গেলে বড় সর্বনাশ হতো ভারতের। র্যাঙ্কিংয়ে তিন থেকে এক লাফে নেমে আসত সাতে! ভারত যেভাবে ব্যাটিং করেছে, তাতে হয়তো তারা দাবি করতেই পারে, হারার প্রশ্ন আসছে কেন? কিন্তু খেলাটা ক্রিকেট। যেখানে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে যেকোনো কিছু। যেমন যে বাংলাদেশ উইকেটের জন্য মাথা কুটে মরছিল, তারাই হুট করে ২৭ রানের মধ্যে তুলে নিল ৩ উইকেট।
বাংলাদেশ জিততই এমন কথা বাংলাদেশ সমর্থকেরা জোর করে বলতে পারছে না। তবে র্যাঙ্কিংয়ের নয় নম্বর দলের সঙ্গে খেলে হারার ঝুঁকি থেকে আপাতত মুক্ত হয়ে ভারতের লাভই হতে যাচ্ছে সম্ভবত। সাতে নেমে যাওয়ার ঝুঁকি তো নেই! বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের পর থেকে অনলাইনে যুযুধান দুই দলের সমর্থকেরা এখনো চাপান-উতোরে ব্যস্ত। বৃষ্টি আসলে কার লাভ করে দিল? বাংলাদেশ সমর্থকেরা বলতেই পারে—কেন, ভারতের!
২২ ম্যাচে ৯৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ভারত এখন আছে তিনে। এই ম্যাচ জিতলে ভারতের রেটিং পয়েন্ট হবে ১০০। তাতে তারা তিনেই থাকবে। হারলে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট কমবে না, থাকবে ৩৯-ই। বাংলাদেশের হারানোর কিছুই নেই। বরং আছে পাওয়ার। এই ম্যাচ ড্র হলে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট বেড়ে হবে ৪১। আর ‘গৌরবময় অনিশ্চয়তা’র আরও একটি উদাহরণ ঘটিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে জিতে গেলে বাংলাদেশের পাশে যুক্ত হবে মূল্যবান পাঁচটি রেটিং পয়েন্ট (৪৪)।
ড্র হলেও কিন্তু ভারতের ক্ষতি হবে। দুই রেটিং পয়েন্ট হারিয়ে তারা নেমে যাবে চারে। তখন তাদের রেটিং পয়েন্ট হবে ৯৭। কারণ ইংল্যান্ড-পাকিস্তান দুদলেরই রেটিংও ৯৭, ভগ্নাংশের ব্যবধানে এগিয়ে থাকবে ভারত। ৯৬ রেটিং নিয়ে সাতে থাকা শ্রীলঙ্কাও ঘাড়ে ফেলবে নিশ্বাস।
ফলে চাপান-উতোরে ভারতীয় সমর্থকেরাও বলতে পারেন, বৃষ্টিতে আমাদের ক্ষতিই হলো। ড্র হলেও তো সাত নম্বর দলের সঙ্গে আমাদের ব্যবধান থাকছে মাত্র এক পয়েন্টের। কিন্তু বাংলাদেশ সমর্থকেরা বৃষ্টির বদৌলতে ড্র হয়েছে—এমনটাই বা মানবে কেন? খুলনা টেস্টের টাটকা উদাহরণ কিংবা যুক্তির অস্ত্র তো তাদের হাতেই আছে!