ব্লগার সৌরভের ইউটিউব চ্যানেল

তামিমের যে অজানা সাত তথ্য আপনাকে অবাক করবে



বলা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ওপেনার তিনি। তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটা এসেছে সেই তামিম ইকবালেরই ব্যাট থেকে। তাই, তাকে সেরা মানতেই হচ্ছে।


তবে, আমাদের এবারের আয়োজন ক্রিকেটের বাইরের জীবন নিয়ে। চলুন জেনে নেয়া যাক তার ব্যাপারে অজানা সাত তথ্য...

১. ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্র তামিম ইকবাল ‘ও’ লেভেল ফাইনাল পরীক্ষায় চার বিষয়ে ফেইল করেন। ফেইল করার পেছনে একমাত্র কারণ ছিল তামিমের অতিরিক্ত ক্রিকেট প্রেম। পড়ালেখায় বারবার ব্যর্থ হতে দেখে তামিমের গৃহ শিক্ষক কামাল বুঝতে পারলেন তামিমকে দিয়ে আর পড়ালেখা হবেনা। গোপনে সে তামিমের হাত থেকে কলম কেড়ে নিয়ে তুলে দেয় ব্যাট-বল। এরপর থেকে বদলে যায় তামিমের জীবন।

২. তামিম ইকবাল চট্টগ্রামসহ দেশের প্রায় পনের থেকে বিশটা এতিমখানা দেখাশোনা করেন। এতিমখানা গুলো দেখাশোনা করতে প্রতি মাসে সে পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা ব্যায় করেন তিনি।

৩. একবার জাতীয় লিগে প্রথম ম্যান অব ম্যাচ পুরূস্কারের পুরো টাকা তামিম তার বাল্যবন্ধু ফারহানের মায়ের ক্যান্সারের চিকিত্সা বাবদ খরচ করে ফেলেন। ফারহান বন্ধুর এই অবদানের কথাটা এখনও সবাইকে বলে বেড়ায়।

৪. তামিমের স্বপ্ন ছিল তার বড় ভাই নাফিস ইকবালের সাথে একসাথে টেস্ট এবং ওয়ানডে ম্যাচে ইনিংস উদ্বোধন করার। কিন্তু ইনজুরির কারণে নাফিসের ক্যারিয়ার খুব বেশি লম্বা হতে পারেনি। সেজন্য ক্রিকেট থেকে যেদিন নাফিস দূরে সরে গিয়েছিলেন সেদিন তামিম নাফিসকে জড়িয়ে ধরে অনেক কান্নাকাটি করেছিল। এরপর নাফিস তামিমের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘এখন তুই এমন ভাবে ক্রিকেট খেলবি যাতে তোর খেলা দেখে সবাই বলে তামিম একলা একশ। দোয়া করি তুই যাতে অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারিস ভাই।’

৫. তামিম নিয়মিত ফরজ, সুন্নত, নফল এবং তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করেন। পুরোদস্তুর ধার্মিক হিসেবে একাধিকবার সে হজ্ব ও পালন করেছে। চলফেরা করার পথে যদি কোনো অসহায় চোখে পরে তামিম তাকে তত্ক্ষণাত আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।

৬. তামিম তার ভাল পারফরম্যান্সের জন্য মা, ভাই, স্ত্রী এবং চাচা আকরাম খানের দ্বিধাহীন সমর্থনকে মূল কারণ হিসেবে দেখান। ফর্ম না থাকা অবস্থায় তামিমকে নিয়ে যারা সমালোচনা করেন তাদের উদ্দেশ্যে তামিম বলেন, ‘আসলে ওরা সবাই আমাকে এবং ক্রিকেটকে অনেক ভালবাসে। আর ভালবাসে বলেই ক্রিকেট নিয়ে সমালোচনা করে। আর তাঁদের সমালোচনা থেকে আমরা ভাল খেলার প্রেরণা পাই।’

৭. পাকিস্তান-বাংলাদেশ সর্বশেষ সিরিজ শুরু হওয়ার ক’দিন আগে তামিম তার মাকে ফোন করে বললেন, ‘আম্মু তুমি দেখো আমি সিরিজের প্রায় সবকটি খেলায় হয় হাফ সেঞ্চুরি করব না হয় ফুল সেঞ্চুরি করব। একটা খেলায়ও শুন্য রানে আউট হবো না। তুমি আমার জন্য দোয়া করো।’

সূত্রঃ প্রিয় ডট কম

আমার সকল পোষ্টের আপডেট পেতে আমার ফেসবুক পেজ এ লাইক দিন,
ফেসবুকে আমি "ব্লগার সৌরভ"
পরবর্তী পোষ্ট
« Prev Post
পূর্ববর্তী পোষ্ট
Next Post »

Thanks for your comment