ব্লগার সৌরভের ইউটিউব চ্যানেল

স্পীডবোট নিয়ে আকাশে মুন্সীগঞ্জের সাফা !! (ভিডিও)



মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি গ্রামে শরীফস এভিয়েশন ২০১৪ সালের জুনে প্রথমবারের মতো বোট ফ্লাইং সেবা চালু করে। উদ্দেশ চ্চতায় গিয়ে আকাশ ছোঁয়া। এখানে ফ্লাইং বোটের সঙ্গে একে একে বেছে নেয়া যায় স্কাইডাইভ, প্যারাসুট জাম্পও। আর তা নিয়ে এখন হই চই পড়ে গেছে সারাদেশে। আর এই আকাশে ওড়ারর কারিগর সানজাদুল ইসলাম সাফা।

পাইলটসহ দুই আসনের বোটটি ৭ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে। তবে নিরাপত্তার জন্য উচ্চতা ১ হাজার ৫০০ ফুটের মধ্যে রাখা হয়। আবহাওয়া ভালো থাকলে শুক্র ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আকাশে উড়ানো হয়। বাতাসের গতিবেগ ২৫ কিলোমিটারের নিচে উড্ডয়ন উপযোগী। অস্ট্রিয়ার তৈরি রোটেক্স এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনটি টু-স্টোক ও ৬৪ হর্স পাওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন।

বোটটি ইতালির পোলারিশ মোটর কোম্পানির। ইঞ্জিন বন্ধ করে দিয়েও পাখার সাহায্যে নিরাপদে অবতরণ করতে পারে বোটটি। ৪৫০ কেজির মোট ধারণক্ষমতার খালি বোটটির মূল ওজন ২১৬ কেজি। ৪৫ লিটার জ্বালানি নিয়ে উড়তে সক্ষম বোটে অকটেনের পাশাপাশি ২ শতাংশ মবিল ব্যবহূত হয়। এ জ্বালানি দিয়ে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট উড়তে সক্ষম। আকাশে সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার এবং পানিতে ৭০ কিলোমিটার।

আরোহণের খরচ,
১০ মিনিট ২ হাজার ২০০ টাকা, ১৫ মিনিট ৩ হাজার, ৩০ মিনিট ৫ হাজার এবং ১ ঘণ্টা ১০ হাজার টাকা। এছাড়া ছবি ও ভিডিওর জন্য আলাদা অর্থ পরিশোধ করতে হবে। যাওয়ার আগে আবহাওয়া অবস্থা জেনে ও যোগাযোগ করে যাওয়া ভালো।

আপনিও চাইলে এবার আকাশে উড়তে পারেন।



সূত্রঃ সময়ের কন্ঠস্বর

আমার ব্লগের সকল পোষ্ট একসাথে ফেসবুকে পেতে, আমার ফেসবুক পেজে লাইক দিন,
আরও পড়ুন

১৯৮৪ সালের আইফোন!


স্টাইলিশ ডিজাইন এবং সৃজনশীলতার জন্য অ্যাপলের স্মার্টফোন তথা আইফোনের বেশ নামডাক আছে। শুধু আইফোন নয়, অ্যাপলের প্রায় সব ধরণের ডিভাইসই বেশ স্টাইলিশ।

তবে আজ থেকে ৩০ বছর আগে যদি অ্যাপল স্মার্টফোন তৈরি করতো, তাহলে সেটি দেখতে কেমন হতো? আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন? আপনি না ভাবলেও ভেবেছেন ডিজাইনার পিয়েরে ক্যারভ্যু। তিনি দেখিয়েছেন ১৯৮৪ সালে বাজারে আসলে একটি আইফোন দেখতে কেমন হতো।

তার মতে, এটি দেখতে হতো অনেকটা আইপড ক্ল্যাসিকের মতো, থাকতো রাউন্ড ডায়াল, সাথে মনোক্রোম ডিসপ্লে।


সূত্রঃ প্রিয় ডট কম

আমার ব্লগের সকল পোষ্ট একসাথে ফেসবুকে পেতে, আমার ফেসবুক পেজে লাইক দিন,
আরও পড়ুন

ফেসবুকে নতুন নিরাপত্তা ফিচার


হ্যাকারদের হাত থেকে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা দিতে ফেসবুকে যোগ হয়েছে একটি নতুন নিরাপত্তা ফিচার। 'সিকিউরিটি চেক-আপ' নামের এই নতুন ফিচারটি শীঘ্রই সকল ব্যবহারকারীর জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

এই চেক-আপ ফিচারটি মূলত ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বৃদ্ধির বিভিন্ন অপশন পপ-আপ আকারে দেখাবে। এখানে দেখানো হবে ফেসবুক ব্যবহার করে কোন কোন ওয়েবসাইট বা অ্যাপে লগইন করা হয়েছে।


যদিও ফেসবুকে এই অপশনগুলো আগে থেকেই রয়েছে, তবে একসাথে একবারে এই অপশনগুলো পপ-আপ আকারে দেখানোর ব্যাপারটি একেবারেই নতুন।

ডেস্কটপে পপ-আপ আকারে দেখানো হলেও ফোনের ক্ষেত্রে ফিক্সড পেজ আকারে দেখানো হবে এই সিকিউরিটি চেক-আপ পেজটি।

সূত্রঃ প্রিয় ডট কম

আমার ব্লগের সকল পোষ্ট একসাথে ফেসবুকে পেতে, আমার ফেসবুক পেজে লাইক দিন,
আরও পড়ুন

এস এস সি রেজাল্ট - ২০১৫, সবার আগে আপনি পাবেন

কেমন আছ বন্ধুরা।
আজকে দুপুর ১২ টা, এস এস সি রেজাল্ট - ২০১৫ এর ফলাফল আনুস্থানিক ভাবে ঘোষনা করা হবে
যে সকল বন্ধুরা এস এস সি পরিক্ষা দিয়েছ, তাদের সবার জন্য রইল শুভ কামনা

তাই আমি আজ আপনাদের সামনে হাজির হলাম, “কিভাবে এসএসসি পরীক্ষা ২০১৫ এর ফলাফল দেখবেন” এই বিষয়ে একটি টিউন নিয়ে। উপরে আপনারা জেনেছেন খুব তাড়াতাড়ি এসএসসি পরীক্ষা ২০১৫ এর রেজাল্ট পাবলিশ হবে। এসএসসি ২০১৫ এর পরীক্ষার্থীরা এখন সময় কাটাচ্ছে কবে রেজাল্ট পাবলিশ হবে এই চিন্তা নিয়ে।


যেভাবে এসএসসি রেজাল্ট ২০১৫ এর ফলাফল দেখবেন মোবাইল/এসএমএস (SMS) এর মাধ্যমেঃ
  1. প্রথমে আপনার ফোন এর মেসেজ অপশন এ যান।
  2. নতুন মেসেজ তৈরি করার অপশন এ যান।
  3. প্রথমে SSC লিখুন এবং একটি স্পেস দিন।
  4. তারপরে, আপনার বোর্ড এর প্রথম তিন টি অক্ষর লিখুন, যেমন-Dhaka:DHA — Madrasah: MAD — Comilla:COM — Chittagong:CHI – Jessore:JES — Rajshahi:RAJ — Dinajpur:DIN — Barisal:BAR and Sylhet:SYL
  5. এরপরে,  একটি স্পেস দিন এবং আপনার রোল নাম্বার টি লিখুন।
  6. এবার একটি স্পেস দিন এবং 2015 লিখুন।
  7. এবার মেসেজ টি সেন্ড করুন 16222 নাম্বার এ।

যেভাবে এসএসসি রেজাল্ট ২০১৫ এর ফলাফল দেখবেন অনলাইনেঃ

আপনারা সবাই জানেন অনলাইন এ সবার প্রথমে educationboardresults.gov.bd সাইট টি ফলাফল প্রকাশ করে।
কিন্তু যখন রেজাল্ট দেয় তখন, অনেক বেশি ভিজিটরের কারনে তাদের সার্ভারে সমস্যা করে,
অনেকেই রেজাল্ট দেখা নিয়ে বড় রকমের সমস্যায় পরে,

যাদের www.educationboardresults.gov.bd তে  রেজাল্ট দেখতে সমস্যা হচ্ছে তারা তারাতারি,
নিচের লিংকটাতে গিয়ে কোন সমস্যা ছাড়া রেজাল্ট দেখুন


এই লিংকে গেলে www.educationboardresults.gov.bd এর মত একটা ফর্ম আসবে, এটাতে Board আর Roll দিয়ে সাবমিট করলে রেজাল্ট দেখাবে,


লিঙ্ক টি সেভ করে রাখুন অথবা বুকমার্ক করে রাখুন, রেজাল্ট পাবলিশ হওয়ার পরে দরকার হতে পারে।

সার্চ ট্যাগ / কিওয়ার্ডঃ এসএসসি, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা, এসএসসি রেজাল্ট, এসএসসি ফলাফল, এসএসসি রেজাল্ট ২০১৫, এসএসসি ফলাফল ২০১৫, ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট / ফলাফল, দাখিল পরীক্ষার রেজাল্ট ২০১৫, সকল শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার রেজাল্ট ২০১৫, এসএসসি / দাখিল / ভোকেশনাল পরীক্ষার ফলাফল ২০১৫, এসএসসি এক্সাম রেজাল্ট ২০১৫, ঢাকা বোর্ডের এসএসসি রেজাল্ট ২০১৫, চট্টগ্রাম বোর্ডের এসএসসি রেজাল্ট ২০১৫, সিলেট বোর্ডের এসএসসি রেজাল্ট ২০১৫, বরিশাল বোর্ডের এসএসসি রেজাল্ট ২০১৫, যশোর বোর্ডের এসএসসি রেজাল্ট ২০১৫, রাজশাহী বোর্ডের এসএসসি রেজাল্ট ২০১৫, দিনাজপুর বোর্ডের এসএসসি রেজাল্ট ২০১৫, মাদ্রাসা বোর্ডের এসএসসি রেজাল্ট ২০১৫, মাদ্রাসা রেজাল্ট ২০১৫, ২০১৫ সালের এসএসসি রেজাল্ট ২০১৫, আমার এসএসসি রেজাল্ট ২০১৫, কিভাবে এসএসসি রেজাল্ট দেখব?, কিভাবে মাদ্রাসা দাখিল ২০১৫ পরীক্ষার ফলাফল দেখব? মোবাইল এসএমএস কিভাবে এসএসসি রেজাল্ট দেখব, সবার আগে এসএসসি রেজাল্ট ২০১৫

সার্চ ট্যাগ কালেক্টঃ ব্লগার মারুফ ডট কম
আরও পড়ুন

ঢাকাই নায়কদের কার কত আয়


কেউ পাচ্ছেন দুই লাখ, কেউবা হাঁকাচ্ছেন কোটি টাকা। ঢাকাই চলচ্চিত্রে নায়কদের পারিশ্রমিকের ব্যবধানটা এমনই আকাশ পাতাল। নতুনদের মধ্যে পারিশ্রমিক মাত্র দুই লাখ টাকা হলেও দীর্ঘদিন কাজ করেও কেউ কেউ হাতে পাচ্ছেন বড়জোর পাঁচ-ছয় লাখ টাকা। আবার কেউ একসময় চল্লিশ লাখ পেলেও এখন পান লাখ বিশেকের মতো। তারকাদের পারিশ্রমিকের অঙ্ক মেলানোটা সোজাসাপ্টা সরলরেখায় চলে না। তারকা, পরিচালক ও প্রযোজকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ঢাকাই নায়কদের ছবি প্রতি পারিশ্রমিকের একটা সার্বিক চিত্র তুলে এনেছি আমি "সরোয়ার সৌরভ"।



শাকিব খান: প্রায় দেড় যুগ আগে ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে শাকিব খানের। তাঁর অভিনীত প্রথম ছবি অনন্ত ভালোবাসা। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেন ইরিন জামান। ক্যারিয়ার শুরু থেকে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে সাত বছরের মাথায় প্রথম ব্যবসাসফল ছবি উপহার দেন শাকিব খান। এর পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ঢালিউডের অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন শাকিব। ২০০৮ সালের শেষের দিকে হঠাৎ করেই দর বাড়িয়ে দেন শাকিব। ছবি প্রতি দর হাঁকেন ৪০ লাখ টাকাও। তারকা সংকটের কারণে নির্মাতারাও একরকম বাধ্য হয়ে শাকিবের চাওয়া পূরণের চেষ্টা করে গেছেন। অবশ্য সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শাকিবের পারিশ্রমিকের অংকটা কমতে থাকে। বর্তমানে ছবি প্রতি ১৫ থেকে ২৫ লাখ টাকার মতো পারিশ্রমিক পাচ্ছেন।



অনন্ত: দর উঠেছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা। কিন্তু এক কোটি না হলে কিছুতেই রাজি হবেন না তিনি। জানিয়েছেন খোঁজ-দ্য সার্চ চলচ্চিত্রের নায়ক অনন্ত জলিল। খোঁজ-দ্য সার্চ সিনেমার মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটে অনন্তর। এখন পর্যন্ত ছয়টি সিনেমায় তাঁকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। যদিও সবগুলো ছবিরই প্রযোজক অনন্ত নিজেই। ছবি প্রতি তাঁর সম্মানি কত ধরা হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কোনো ছবিতে এখন পর্যন্ত কোনো পারিশ্রমিক ধরিনি। বিষয়টি নিয়ে আমি আসলে ভাবিওনি। তবে দর্শকের কাছে আমার জনপ্রিয়তা কারণে কিছু নির্মাতা আমাকে দিয়ে ছবি নির্মাণের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন। তাঁদেরকে আমি সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছি, যদি এক কোটি টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয় তাহলে আমি ছবিতে অভিনয় করতে রাজি আছি। এঁদের কেউ কেউ অবশ্য ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক দিতে রাজি হয়েছিলেন বলেই অনন্ত জানান।



ফেরদৌস: কথা ছিল সাংবাদিক হওয়ার। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রিও অর্জন করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়নি। জড়িয়ে গেছেন বিনোদন জগতের সঙ্গে। শুরুটা হয়েছিল নব্বইয়ের দশকে, র‌্যাম্প মডেল হিসেবে। একটা সময় তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় প্রয়াত নৃত্য পরিচালক আমির হোসেন বাবুর। তাঁর একটি ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল ফেরদৌসের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছবিটির কাজ শুরু করতে পারেননি আমির হোসেন বাবু। বুকের ভেতর আগুন ছবির কাজ শেষ হওয়ার আগেই মারা যান ছবির নায়ক সালমান শাহ। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে ছবিটি নিয়ে বিপাকে পড়ে যান নির্মাতা ছটকু আহমেদ। গল্পে কিছুটা পরিবর্তন এনে ফেরদৌসকে দিয়ে ছবির কাজ শেষ করেন ছটকু আহমেদ। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবির মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ফেরদৌসের। চলচ্চিত্রে শুরুটা হতে যত বেশি বেগ পেতে হয়েছে সফলতা লাভ করতে ততটা হয়নি। প্রথম ছবি মুক্তির বছর খানেকের মাথায় মুক্তি পায় কলকাতার নির্মাতা বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত হঠাৎ বৃষ্টি ছবিটি। এই ছবিটি রাতারাতি তারকা বানিয়ে দেয় ফেরদৌসকে। অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। এই ছবির মাধ্যমে কেবল বাংলাদেশে নয়, কলকাতাতেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান ফেরদৌস। এরপর দুই বাংলায় অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এখনো আগের মতোই দুই বাংলায় সমানতালে অভিনয় করে চলেছেন। আগে ছবি প্রতি ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিলেও ইদানীং সে অঙ্কটায় ভাটা পড়েছে। এখন তাঁর পারিশ্রমিক ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার ঘরে।



আরিফিন শুভ: শোবিজে আরিফিন শুভর শুরু র‍্যাম্প মডেলিংয়ের মধ্য দিয়ে। পাশাপাশি রেডিওতে কথাবন্ধুর কাজও করতেন। এরপর নাটকে অভিনয় করেন। একটা সময় সব কিছুকে বিদায় দিয়ে নিজেকে চলচ্চিত্রের জন্য উপযোগী করে তোলেন। পেয়েছেন সফলতাও। তাঁর প্রথম ছবির নাম ‘জাগো’। এই ছবিতে তাঁর উপস্থিতি অল্প সময়ের জন্য হলেও, শুভ ঠিকই দর্শক হৃদয়ে স্থান করে নেন। এরপর একে একে কাজ করেন ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি’, ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’, ‘ছায়াছবি’, ‘অগ্নি’, ‘কিস্তিমাত’, ‘ওয়ার্নিং’ ও ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ ছবিগুলোতে। অগ্নি ছবির সাফল্যের পর চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালকদের কাছে নির্ভরযোগ্য নায়ক হয়ে ওঠেন শুভ। কিস্তিমাত ছবিতেও বাজিমাত করেন শুভ। আর সর্বশেষ ছুঁয়ে দিলে মন ছবিটি শুভকে এনে দেয় আকাশছোঁয়া সাফল্য। শুভ বর্তমানে প্রতিটি ছবিতে অভিনয়ের বিনিময়ে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার মতো পারিশ্রমিক নিচ্ছেন।



বাপ্পি চৌধুরী: নারায়ণগঞ্জের ছেলে বাপ্পি চৌধুরী। কোনো দিন ভাবেননি চলচ্চিত্রে কাজ করবেন। পরিবারেও কেউ এ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। বন্ধু-বান্ধবের উৎসাহে চলচ্চিত্রেবাপ্পি চৌধুরী অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় তাঁর। রূপালি পর্দায় অভিষেকের জন্য খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁকে। ২০১২ সালে সেই সুযোগটা পেয়ে যান বাপ্পি। তাঁর প্রথম ছবি ভালোবাসার রং। এই ছবিতে তাঁর সহশিল্পী হালের আলোচিত নায়িকা মাহি। ভালোবাসার রং মুক্তির আগেই একাধিক ছবিতেও চুক্তি স্বাক্ষর করে বেশ আলোচিত হয়ে ওঠেন বাপ্পি। আর ছবি মুক্তির পর পেয়ে যান জনপ্রিয়তা ও তারকাখ্যাতি। মাত্র তিন বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন এক ডজনেরও বেশি ছবিতে। বর্তমানে প্রতিটি ছবিতে অভিনয়ের বিনিময়ে ৭ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকার মতো পারিশ্রমিক নিচ্ছেন।



সাইমন: শুরুটা করেছিলেন জ্বি-হুজুর সিনেমার মধ্য দিয়ে। সালটা ছিল ২০১২। প্রথম ছবিতে সাফল্যের মুখ না দেখলেও পরের বছর বাজিমাত করেন সাইমন। তাঁর অভিনীত পোড়ামন ছবিটি দারুণ দর্শকপ্রিয়তা পায়। ছবিটিতে সাইমন অভিনয় করেন মাহিয়া মাহির বিপরীতে। তিন বছরের ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন ১০ টিরও বেশি ছবিতে। তুলনামূলকভাবে ছবির সংখ্যা কম হলেও তাঁর পারিশ্রমিকের অঙ্কটা ভালোই বলতে হয়। বর্তমানে ছবি প্রতি ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা পাচ্ছেন তিনি।



ইমন: শুরুটা হয়েছিল ছোটপর্দা দিয়ে। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অভিনয় করতেন টিভি নাটকে। ২০০৭ সালে তৌকির আহমেদ ইমন পরিচালিত দারুচিনি দ্বীপ ছবির মাধ্যমে প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন ইমন। একই বছর মুক্তি পায় ইমন অভিনীত এক বুক ভালোবাসা ছবিটি। এরপর তিন বছরের বিরতি। ২০১০ সালে গহিনে শব্দ ছবিতে অভিনয় করে দর্শকমহলে প্রশংসা কুড়ান। ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া লালটিপ ছবিতেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। আসছে ঈদে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে ইমন অভিনীত নতুন চলচ্চিত্র পদ্ম পাতার জল। এই ছবিতে ইমনের বিপরীতে অভিনয় করেছেন মিম। ঢাকাই ছবির আলোচিত এই নায়কের ছবি প্রতি পারিশ্রমিকের অঙ্কটা চার লাখের কোটায়। ক্ষেত্রবিশেষে তা ওঠানামাও করে।



নিরব: মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজে আসেন নিরব। টিভি নাটকেও অভিনয় করেন তিনি। তাঁর প্রথম সিনেমা মন যেখানে হৃদয় সেখানে। প্রথম ছবিতে তিনি পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়েছিলেন ২ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত ঢাকাই ছবির এই নায়কের ১৯টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। কাজ চলছে আর তিন-চারটির মতো ছবির। ঢাকাই ছবির এই নায়ক ছবি প্রতি পারিশ্রমিক হাঁকাচ্ছেন ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা।



জায়েদ খান: পিরোজপুরের ছেলে জায়েদ খান। চলচ্চিত্রে নায়ক হওয়ার আশায় অংশ নেন এফডিসির ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রমে। সৌভাগ্যক্রমে চলচ্চিত্রে কাজ করার জায়েদ খানসুযোগটাও পেয়ে যান তিনি। আর তাঁকে এই সুযোগটা করে দেন পিরোজপুরেরই এক প্রযোজক | ছবির নাম ভালোবাসা ভালোবাসা। পরিচালক মোহাম্মদ হান্নান। চলচ্চিত্রে জায়েদ খানের যাত্রা হলো শুরু। ২০০৭ সালে ভালোবাসা ভালোবাসা ছবিটি মুক্তি পায়। প্রথম ছবি মুক্তির আগেই জমিদারবাড়ির মেয়ে ও পাপের প্রায়শ্চিত্ত নামে আরও দুটি ছবিতে সুযোগ পেয়ে যান তিনি। এরপর মন ছুঁয়েছে মন, আত্মগোপন, আমার স্বপ্ন আমার সংসার, তোকে ভালোবাসতেই হবে, অদৃশ্য শত্রু, কাছের মানুষ, প্রেম করব তোমার সঙ্গে, নাগ-নাগিনের স্বপ্ন ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। জনপ্রিয়তার দৌড়ে খুব বেশি পিছিয়ে না থাকলেও পারিশ্রমিকের দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে আছেন জায়েদ খান। ছবি প্রতি তাঁর পারিশ্রমিক মাত্র দুই লাখের মতো।
আরও পড়ুন

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা‬ মতো কাঁধে ঝোলা আর মূখে.....


হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা‬ মতো কাঁধে ঝোলা আর মূখে আঞ্চলিক গানের অকৃত্রিম সুর বাঁশিতে তুলে অবিরত ৩৫ বছর ধরে হাঁটছেন
ক্লান্তিহীন পথিকের বেশে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে হ্যামিলনের বাঁশিওলার মতো কাঁধে ঝোলা আর মূখে আঞ্চলিক গানের অকৃত্রিম সুর বাঁশিতে তুলে অবিরত হাঁটছেন।
“প্রাণ সখিরে ওই শোন কদম্ব তলায় বংশী বাজায় কে” এমনি পাগল করা সুর যিনি বাশিঁতে তোলেন তাকে আমরা সাধারনত বলে থাকি বাঁশিওয়ালা। তার বয়স ৫০ এর কাছাকাছি। এভাবে বাঁশি বিক্রির আয় দিয়ে ছয় সদস্যের সংসার চালাচ্ছেন সুশীল চক্রবর্তী।
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে তার বাড়ি। শিশুকাল থেকেই সুশীল চক্রবর্তী ছিলেন ভবঘুরে। সংসার চালতে গিয়ে নিত্য চাহিদা মেটাতে বেকায়দায় পড়েন তিনি। নিজের বাঁশি বাজানোর বিদ্যাটুকু কাজে লাগিয়ে খুঁজে নেন চলার শক্তি। আর এভাবে দীর্ঘ ৩ যুগ ধরে এ বাঁশির ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
সুশীল চক্রবর্তীর সাথে গতকাল আলাপকালে তিনি জানান, ৩০/৪০ টাকা ধরে একটি মুলি বাঁশ কিনে তা থেকে ৭/৮টি বাঁশি তৈরী করি। আর ওই বাঁশি ২০টাকা থেকে শুরু করে ছোটগুলো ৩০টাকা আবার বড় মোহন বাঁশিগুলো ৩ থেকে ৫শত টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এতে প্রতিদিন ২থেকে ৩শত টাকা আয় হয়। এ দিয়ে ১ছেলে, ৩মেয়ে লেখা পড়া ও স্ত্রীকে নিয়ে কোন রকম সংসার চলে।
বাঁশি সর্ম্পকে তিনি আরো বলেন, বাশিঁর সুর কখনো বিক্রি হয় না। এটি আমার আত্মার খোরাক। তাই এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংস্কৃতি অঙ্গনে পরিবেশনের সুযোগ পেলে নিজেকে ধন্য মনে করতাম।
আরও পড়ুন
"হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা" গল্পের সত্য কাহিনী

"হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা" গল্পের সত্য কাহিনী

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা গল্পটি অনেকেই পড়ে বা শুনে থাকবেন। ছোটবেলায় আমরা এ গল্পটি পড়েছি আর মনে মনে কল্পনা করেছি সত্যি কী হ্যামিলন শহরে এ রকম ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় অত মাথা ঘামাবার প্রয়োজন মনে হয়নি। কিন্তু মনে প্রশ্ন প্রায়ই উঁকি দিতো।

জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের ‘হামেল্ন’ বা হ্যামিলন শহর এ কল্প কাহিনীর অনেক চিহ্ন বহন করে। ১২৮৪ সাল। আজ থেকে প্রায় ৭০০ বছরের বেশি আগে জার্মানির ছোট্ট শহর হ্যামিলিনে ঘটেছিল বিখ্যাত এ ঘটনাটি। হ্যামিলিনের গির্জার দেয়ালে আঁকা ছবি থেকে প্রথম এ ঘটনার কথা জানতে পারে মানুষ। পরে এ নিয়ে অনেক গল্প-কবিতা উপকথা লিখা হয়েছে।

গল্পটির শেষের অংশটুকু আবার একটু স্মরণ করে দিতে চাই।

‘…বংশীবাদক যখন সকল শিশুকে নিয়ে রওয়ানা দেয়, তখন শহরের কেউ কিছুই করতে পারছিল না। কারণ তারা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বাঁশির সুর শুনছিল। তাদের দলে সেই মেয়রও ছিল।
তো বংশীবাদক শিশুগুলোকে নিয়ে হ্যামিলিনের শহরের পাঁচিল বেয়ে এক পাহাড়ের দিকে গেল। পাহাড়টি হঠাৎ দু’ভাগ হয়ে গেল। তখন বংশীবাদক শিশুগুলোকে নিয়ে তার ভিতরে ঢুকে গেল। তাকে বা শিশুগুলোকে পরবর্তীতে আর দেখা যায়নি।’

১২৮৪ সালের ২২ জুলাই ঘটনাটি ঘটেছে।

এখন কথা হচ্ছে এটি কি শুধুমাত্র একটি গল্প নাকি সত্যি ঘটনা? দীর্ঘদিন ধরে এ অমীমাংসিত ঘটনাটি নিয়ে গবেষণা হয়েছে। হ্যামিলন শহরের পৌরসভায় রাখা নথিপত্র তন্নতন্ন করে খোঁজা হয়েছে এ ঘটনার উৎস জানার জন্য। অনেকেই বিশ্বাস করেন এটি সত্য কাহিনী। জার্মানির হানোভারের ৩৩ মাইল দক্ষিণে একটি শহরের নাম হ্যামিলন। একাদশ শতাব্দীতে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১২১২ সালে নিকোলাস নামক একটি ছেলে ওই শহরের ছেলেমেয়েদের এ কথা বলে উত্তেজিত করে তুলে যে সে তাদের নিয়ে যাবে জেরুজালেমে। জেরুজালেম হল পুণ্যভূমি। সে তাদের কাছে এক রহস্যময় বর্ণনা দিয়েছিল। সে বলেছিল তারা যখন ভূমধ্যসাগরে পৌঁছুবে, তখন সাগর শুকিয়ে যাবে। তারা হেঁটে তা পাড়ি দিবে। এভাবে সে প্রচুর ছেলেমেয়েকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু পরে তাদের আর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। গবেষকরা বলেন, নিকোলাস ছিল ছেলেধরার দলের চর। ওই সমস্ত শিশুকে সে মধ্যপ্রাচ্যে বিক্রি করে দিয়েছিল।

সে শহরের একটি রাস্তার নাম বাঙ্গেলোসেন্ট্রাস। এর অর্থ হল ‘যে রাস্তায় বাজনা বাজে না’। ওই রাস্তার একটি কাঠের ফলকে খোদাই করা আছে ১৮২৪ সালের ২৬ জুন হ্যামিলনের ১৩০টি শিশুকে এক রংচঙা ব্যক্তি অপহরণ করে নিয়ে গেছিল যাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

হ্যামিলনে রয়েছে একটি জাদুঘর। ওই জাদুঘরে সঞ্চিত অনেক বইয়ের মাঝে পঞ্চদশ শতাব্দীতে লেখা কয়েকটি বইয়ে পাওয়া যায় এই রহস্যময় কাহিনী। সেখানে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ দেয়া আছে। ফ্রাউ ভন লিউড নামে এক তেরো বছরের বালক বলেছে যে লোকটির বয়স আনুমানিক ছিল ৩০। খুব সুদর্শন দেখতে। তার বাঁশিটি ছিল রুপোর তৈরি।

অন্য এক নথিতে পাওয়া যায়, ১৩০০ শতাব্দীতে হ্যামিলনের বাজারে এক কাঠের ফলক ছিল। সেখানে এক বংশীবাদক ও অনেক শিশুর ছবি ছিল। সেটা ১৭০০ সালে ঝড়ে ধ্বংস হয়ে যায়।

ইতিহাস থেকে জানা যায় ১২৩৭ সালে এর্ফুট শহরে এক হাজারেরও বেশি ছেলেমেয়ে হঠাৎ শহর থেকে দলবদ্ধ হয়ে বাইরে আসে। তারা নাচতে নাচতে পৌঁছায় আর্নস্টার্ড নামে এক জায়গায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর যখন তাদের পাওয়া গেল তখন তাদের শহরে ফিরিয়ে আনা হল। কে যে তাদের নিয়ে গিয়েছিল তার হদিস পাওয়া গেল না। বাড়ি আসার পর বেশিরভাগ শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মাঝে মূর্ছা রোগ দেখা যায়।

এ ধরনের আরেকটি রহস্যময় ঘটনা ঘটেছিল ১৪৫৮ সালে। জার্মানির সোয়াভিয়া অঞ্চলের একটি শহরের নাম হাল। সেই শহরের ৮-১২ বছরের শিশুদের মধ্যে হঠাৎ করে এক ধরনের উন্মাদনা লক্ষ্য করা গেল। তারা ঠিক করেছিল, দলে দলে তারা ফ্রান্সের মিশেল নামে এক তীর্থ স্থানে যাবে। সেখানে আছে একটা মঠ। বয়স্করা এ ব্যাপারে বাধা দেবার চেষ্টা করলেন। এতে ছেলেমেয়েদের অধিকাংশ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন বাধ্য হয়ে শিশুদের এ মহাপ্রস্থান মেনে নেন অভিভাবকরা।

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার গল্পে ইঁদুর দ্বারা আক্রান্ত শহরের কথা বলা হয়েছে। মধ্যযুগে ইউরোপে প্লেগরোগ ভয়াবহরূপে দেখা দেয়। তখন ইঁদুর ধরার জন্য এক বিশেষ লোক দেখা যেতো। অবশ্য তারা বাঁশি বাজিয়ে ইঁদুর ধরতো নাকি, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। হাইফ্রিকুয়েন্সির শব্দতরংগ দিয়ে ইঁদুরকে আকৃষ্ট করা যায়। হ্যামিলনের জাদুঘরে একটি প্রাচীন টিনের বাঁশি রাখা আছে। প্রাচীনকালে ইঁদুর ধরিয়েরা এ ধরনের বাঁশি ব্যবহার করতো।

ইতিহাস থেকে আরো জানা যায়, ১২৮৪ সালে হ্যামিলনে দুটি ঘটনা ঘটে। একটি হচ্ছে প্লেগ, অন্যটি নাচুনে রোগ। এক বিশেষ ধরনের খাদ্য বিষক্রিয়ায় এ রোগ দেখা দেয়। এতে রোগী ঘণ্টার পর ঘণ্টা নাচতে থাকে। লাল রঙ তাদের আকৃষ্ট করতো খুব। সাধারণত ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাই এ রোগে আক্রান্ত হয়েছিল।

যারা এ গল্পটি নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করে, তাদের মধ্যে হ্যান্স ডোবারটিন সবচাইতে সফল। তিনি এ গল্পের বর্ণনা দেন অন্যভাবে। তা ছিল গ্রহণযোগ্য। তিনি এ গল্পের তথা কাহিনীর ব্যাখ্যা দেন ১২৮৪ সালের ঘটনার উপর ভিত্তি করে।

বর্তমানে হ্যামিলনে যে পৌরসভা রয়েছে তার নামে অর্থ হল ‘ইঁদুর ধরা লোকের বাড়ি’। এটি নির্মিত হয় ১৬০২ সালে। এর দেয়ালে বিশ্ববিখ্যাত কাহিনীটির ছবি চমৎকারভাবে আঁকা আছে।

এই গল্পের কাহিনী নিয়ে এখনো গবেষণা হচ্ছে।

ছবিঃ




সূত্র: আলী ইমামের ‘রহস্যের খোঁজে’
আরও পড়ুন

সালমানের ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবির প্রচারণায় শাহরুখ - আমির



বলিউডের প্রভাবশালী তিন তারকা অভিনেতা সালমান, শাহরুখ ও আমির খান। তাঁদের মধ্যে নীরব প্রতিযোগিতা সব সময়ই চলে। ছবির সাফল্যের মানদণ্ডে কে কাকে ছাপিয়ে যাবেন সে চেষ্টাই থাকে তাঁদের। তবে সম্প্রতি ভিন্ন এক দৃষ্টান্তই স্থাপন করলেন সালমানের সমসাময়িক দুই তারকা অভিনেতা শাহরুখ খান ও আমির খান। সালমান অভিনীত ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবির প্রচারণা চালিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন তাঁরা।
‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবিতে সালমানকে কেমন দেখা যাবে তার একটি ছবি প্রথম টুইটারে পোস্ট করেন শাহরুখ খান। গতকাল মঙ্গলবার পোস্ট করা ওই ছবির ক্যাপশনে শাহরুখ লেখেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, নায়ক হওয়ার চেয়ে একজন ভাই হওয়া অনেক বড় একটি ব্যাপার। ‘‘ভাইজান’’ আসছে ২০১৫ সালের ঈদে।’ ভক্তদের উদ্দেশে শাহরুখ আরও লেখেন, ‘প্রথম ছবিটি আপনারা কতটা পছন্দ করলেন?’শাহরুখ ও আমির টুইটারে পোস্ট করার পর সালমানের এই ছবিটি প্রকাশ করা হয় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে।

কেবল শাহরুখই নয়, আমির খানও ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবির প্রচারণা চালিয়েছেন টুইটারে। ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবিতে সালমানকে কেমন দেখা যাবে তার প্রথম ছবি আমিরও পোস্ট করেছেন তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে। পাশাপাশি ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবির প্রচারণা চালাতে আমির টুইট করেন, ‘শিগগির আসছে।’ এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
গতকাল মঙ্গলবার সালমানের অর্ধেক চেহারার ছবি পোস্ট করেন শাহরুখ ও আমির। পরে মধ্যরাতে সালমানের পুরো চেহারার ছবি প্রকাশ করা হয় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে।
কবির খান পরিচালিত ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবিটি নির্মিত হয়েছে সালমান খান ফিল্মসের ব্যানারে। ছবিটিতে সালমান ছাড়াও অভিনয় করেছেন কারিনা কাপুর খান, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী, নাজিম খান প্রমুখ। ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী ১৭ জুলাই।


আমার সকল পোষ্টের আপডেট পেতে আমার ফেসবুক পেজ এ লাইক দিন,
ফেসবুকে আমি "ব্লগার সৌরভ"
আরও পড়ুন

মোবাইল এর ইউসি ব্রাউজার থেকে সবাই সাবধান

মোবাইল ফোনের জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার ‘ইউসি ব্রাউজার’ ব্যবহার করে অনেকেই অনলাইনে বিচরণ করতে পছন্দ করেন। কিন্তু এ ব্রাউজারটি ব্যবহারকারীদের তথ্য মোটেই নিরাপদ রাখতে পারে না। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে এনডিটিভি।
মোবাইল ফোনে ইউসি ব্রাউজার ব্যবহার করা হলে তার মাধ্যমে মোবাইলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে। এতে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন হতে পারে বলে অভিমত কানাডিয়ান প্রযুক্তি রিসার্চ গ্রুপের বিশেষজ্ঞদের।


সিটিজেন ল্যাব জানিয়েছে, ইউসি ব্রাউজারের চীনা ও ইংরেজি ভাষার ভার্সন নির্মাতা ইউসিওয়েব আইএনসি। এতে থার্ড পার্টির পক্ষে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যগুলো জোগাড় করা সহজ। এসব তথ্যের মধ্যে রয়েছে অবস্থান, সার্চের বিস্তারিত, মোবাইল সাবস্ক্রাইবার ও ডিভাইস নম্বর।
ব্যবহারকারীদের তথ্য উন্মুক্ত থাকায় তা প্রাইভেসির ক্ষেত্রে হুমকি সৃষ্টি করে কারণ তা মোবাইল ফোনের ডেটা ট্রাফিক বিষয়ে সব তথ্য অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিদের হাতে চলে যাওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করে।

ইউসি ব্রাউজারের মালিকানায় রয়েছে আলিবাবা ডটকম। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আলিবাবা ডটকমের মুখপাত্র বব ক্রিস্টি বলেন, ‘সমস্যাটি গত এপ্রিলে নজরে আসে। এরপর তা সঙ্গে সঙ্গে ঠিক করা হয়’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি আর ব্যবহারকারীদের তথ্য নিরাপদ রাখতে আমরা সম্ভব সবকিছু করছি।’
তবে এ বিষয়ে ইউসি ওয়েব ব্রাউজারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।

ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোভিত্তিক সিটিজেন ল্যাব জানিয়েছে, ইউসি ব্রাউজারে পাঁচশ মিলিয়নেরও বেশি রেজিস্টার্ড ব্যবহারকারী রয়েছে এবং এটা চীন ও ভারতে খুবই জনপ্রিয়। ব্রাউজারটির চীনা ভার্সন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এতে ব্যক্তিগত তথ্য হারানোর সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। তবে অন্য ভার্সনও কম ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
আরও পড়ুন

নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই অবশ্যই এই টিউনটি একবার দেখে নিবেন



নতুন ল্যাপটপ কম্পিউটার কেনার কথা ভাবছেন? যাচ্ছেন কিনতে? বাজারে রয়েছে অনেক ল্যাপটপ। এগুলোর মধ্য থেকে হঠাৎ করেই এমন একটি ল্যাপটপ কিনে ফেললেন।  পরে দেখা গেল সেটি আপনার উপযোগী নয়। তাই ল্যাপটপ কিনতে যাওয়ার আগেই পরিকল্পনা সেরে নেওয়া ভালো।

প্রয়োজন বুঝে নিন
প্রথমেই চিন্তা করুন, ল্যাপটপ দিয়ে কী করবেন। এটি সঠিকভাবে বের করতে পারলে ল্যাপটপ কেনার কাজটি অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। ল্যাপটপ কম্পিউটার দিয়ে অনেক কাজ করা যেতে পারে, তবে সাধারণভাবে কাজগুলোকে এভাবে ভাগ করা যায়:

অফিস ও পড়াশোনার কাজে—মূলত অফিস ঘরানার সফটওয়্যারের মাধ্যমে লেখালেখি, হিসাব কষা, প্রেজেন্টেশন তৈরি এবং অফিস ও শিক্ষার জন্য বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করা যায়।গেম খেলা—সর্বশেষ গেমগুলো খেলা, এর পাশাপাশি অন্য কাজগুলোও করা যায়। ওয়েব ব্যবহার—ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা, ই–মেইল, ভিডিও স্ট্রিমিং ও সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলো ব্যবহার করা যায়। মিডিয়া প্রোডাকশন—ছবি, অডিও, ভিডিও ক্যাপচার, সম্পাদনা ইত্যাদি কাজ করা।

সুবিধা-অসুবিধা জানুন
ডেস্কটপ কম্পিউটারের তুলনায় ল্যাপটপ ব্যবহারে বিশেষ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। তবে এটি কখনোই বলা যায় না, সব কাজের বেলায় ল্যাপটপ ডেস্কটপের বিকল্প হতে পারে। সুবিধার মধ্যে রয়েছে ল্যাপটপ সহজে বহন করা যায়। ডেস্কটপের প্রায় সব কাজই এখানে করা যায় ল্যাপটপে, কম বিদ্যুৎ খরচ ও কম জায়গা লাগে।
ল্যাপটপ ব্যবহারের অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো এটি ব্যাটারিতে চলে। তবে সব সময় বহন করা হয় বলে এটি চুরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং দুর্ঘটনায় পড়ে এর ক্ষতি হতে পারে। ল্যাপটপের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চাইলেই পরিবর্তন করা যায় না। ফলে অনেক ক্ষেত্রে ল্যাপটপ হালনাগাদ নাও হতে পারে।

এবার আসুন বাজেটে
ল্যাপটপ কেনার জন্য কত টাকা খরচ করবেন, সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করে রাখুন।

অপারেটিং সিস্টেম কোনটা
অপারেটিং সিস্টেম হলো কম্পিউটারের চালক সফটওয়্যার, যার ওপর ভিত্তি করে অন্যান্য আরও প্রোগ্রাম ব্যবহার করা যায়। অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে প্রচলিত হলো উইন্ডোজ, ম্যাক, লিনাক্স ও ক্রোম। ল্যাপটপ কেনার সময়ই সাধারণত অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা থাকে। ল্যাপটপ কেনার পর আলাদাভাবে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা যাবে। সাধারণ কাজের জন্য এটি অন্যতম জনপ্রিয় ও সর্বাধিক ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম। তবে ম্যাক ওএস ব্যবহারের জন্য অ্যাপল ম্যাক যন্ত্রের দরকার হবে।

লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করার জন্য বিশেষ কোনো নিয়ম নেই। যেকোনো ধরনের হার্ডওয়্যারেই লিনাক্স ব্যবহার করা যায়। লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন সংস্করণ পাওয়া যায়, যেগুলো ডিস্ট্রো নামে পরিচিত। যেমন উবুন্টু, ফেডোরা, রেড হ্যাট ইত্যাদি। গুগল ক্রোম ব্রাউজারের ওপর ভিত্তি করে ক্রোম ওএস তৈরি করা হয়েছে। ওয়েবভিত্তিক কাজগুলো করার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।

কম্পিউটারে কী ধরনের কাজ করা হবে, তার ওপর ভিত্তি করেও অপারেটিং সিস্টেম নির্বাচন করা যেতে পারে। যেমন: ছবি, অডিও, ভিডিও সম্পাদনার সফটওয়্যার ব্যবহার করার জন্য লিনাক্সের তুলনায় ম্যাক ও উইন্ডোজে সুবিধা বেশি। ওয়েবসাইট তৈরি ও অন্যান্য কারিগরি কাজের জন্য অনেকেই লিনাক্স ও ম্যাক ব্যবহার করে থাকেন। আবার যাঁরা গেম খেলার জন্য কম্পিউটার কিনছেন, তাঁদের জন্য উইন্ডোজই হবে সেরা অপারেটিং সিস্টেম।

মডেল নির্বাচন
ল্যাপটপের ধরন, পর্দার আকারসহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে এর মডেল নির্বাচন করতে হবে। সাধরণভাবে এই সময়ের ল্যাপটপগুলো নেটবুক, নোটবুক বা ল্যাপটপ, হাইব্রিড ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট, ডেস্কটপের বিকল্প আলট্রাবুক—এই চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। কাজের ধরনের ওপর ভিত্তি করে বেছে নিতে হবে নতুন ল্যাপটপটি।

বৈশিষ্ট্য যাচাই করে নেওয়া
ল্যাপটপ কেনার আগে এর বৈশিষ্ট্যগুলো যাচাই করে নেওয়া উচিত। বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে দামেও পার্থক্য তৈরি হয়। তবে একই দাম হলেও আলাদা মডেলের ল্যাপটপে আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকবে।

প্রসেসর হলো কম্পিউটারের এমন একটি অংশ, যার মাধ্যমে সব ধরনের প্রসেসিং করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ের প্রসেসরগুলোর মাধ্যমে কম্পিউটারের কাজগুলো সহজেই করা সম্ভব। ল্যাপটপ কেনার সময় সেলেরন, অ্যাটম, পেন্টিয়াম, সি, ই ইত্যাদি সিরিজের প্রসেসরগুলো এড়িয়ে যাওয়া ভালো।

র্যাম ও মেমোরি
কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের কাজগুলো করা হয় র্যাম বা মেমরির ওপর ভিত্তি করে। মেমোরি যত বেশি হবে কম্পিউটার তত দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারবে। গ্রাফিকস প্রসেসর: গ্রাফিকস, অডিও সম্পাদনা, অ্যানিমেশনের মতো কাজগুলো করার জন্য যদি ল্যাপটপ ব্যবহার করা হয়, তবে একটি ভালো মানের গ্রাফিকস প্রসেসর যুক্ত রাখা প্রয়োজন।

হার্ডডিস্ক: কম্পিউটারে তথ্য সংরক্ষণের জন্য যে যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয় তার নাম হার্ডডিস্ক। হার্ডডিস্কের আকার বেশি হলে একই সঙ্গে বেশি তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। অধিকাংশ ল্যাপটপেরই হার্ডডিস্ক পরিবর্তন করা যায়, ফলে প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন হার্ডডিস্ক সংযোজন করা যাবে। এসএসডি নামের নতুন ধরনের একটি ডিস্ক রয়েছে। সাধারণ মানের হার্ডডিস্কের তুলনায় বেশি গতিসম্পন্ন এই হার্ডডিস্কগুলো সাধারণ হার্ডডিস্কের তুলনায় কম বিদ্যুৎ খরচ করে।

পর্দার রেজ্যুলেশন
কাজের ধরন অনুযায়ী ল্যাপটপের পর্দা রেজ্যুলেশন নির্বাচন করা উচিত।
আরও পড়ুন

আমরা কেন সেলফি তুলি? এবং কেন সেলফি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা


যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান, বিয়েবাড়ি, বন্ধুদের জমায়েত বা সুন্দর কোনো জায়গার সামনে দাঁড়িয়ে একা বা কয়েকজন মিলে মোবাইল ফোন আর ডিজিটাল ক্যামেরায় নিজেরাই তুলে ফেলছি নিজেদের ছবি—যাকে বলে সেলফি! কবে কখন প্রথম এই সেলফির প্রচলন হলো তা নিয়ে গবেষণা হয়েছে প্রচুর। মার্কিন আলোকচিত্রী রবার্ট কর্নেলিয়াস ১৮৩৯ সালে নিজের ছবি নিজে তুলে পৃথিবীর প্রথম সেলফি তৈরি করেন। কিন্তু এ যুগে সেলফি বলতে যা বোঝায় সেই ‘সেলফি’ শব্দটি অস্ট্রেলিয়ার একটি অনলাইন ফোরাম সর্বপ্রথম ব্যবহার করে ২০০২ সালে। এরপর থেকে বিষয়টির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে—স্থান পায় অক্সফোর্ড অভিধানে এবং ২০১৩ সালে বর্ষসেরা শব্দের খেতাবও অর্জন করে ‘সেলফি’।

সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপ্রধান, তারকা, রাজনীতিবিদ, খেলোয়াড়, পর্যটক, মহাশূন্যচারী, শিশু-যুবক-বৃদ্ধ—কে নেই সেলফি তোলার তালিকায়! কেন মানুষ সেলফি তোলে? কেনই বা সেগুলো ছেড়ে দেয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে? জানতে চেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্লেষণ করেছেন সেলফির মনস্তত্ত্ব।


নিজেকে সুন্দর করে অন্যের সামনে তুলে ধরার প্রবণতা মানুষের জন্মগত। মানুষের চাহিদার সোপানতত্ত্ব ব্যাখা করতে গিয়ে আব্রাহাম মাসলো দেখিয়েছেন জৈবিক চাহিদা ও অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণের পর মানুষ চায় অপরের কাছে নিজের স্বীকৃতি-ভালোবাসা। তুলে ধরতে চায় নিজেকে যতদূর সম্ভব পরিশীলিত করে। এই প্রবণতা স্বাভাবিক এবং মানবিকও বটে। সেই চাহিদা থেকেই সেলফি।

২০১৩ সালে প্রকাশিত ‘সাইকোলজি অব সেলফিজ’ নিবন্ধে গবেষক ক্রিস্টি বারলেট বলেন, যারা বেশি বেশি সেলফি তোলে ও পোস্ট করে তাদের বেশির ভাগের মধ্যেই রয়েছে অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা এবং তারা কেউ কেউ ব্যক্তিজীবনে অনেকখানিই একা। অবশ্য এই নিবন্ধে মন্তব্য করা আরেকজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, নিজেকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে অন্যের কাছে তুলে ধরাটা নান্দনিক আর এতে কোনো সমস্যা নেই। নানা অনলাইন মাধ্যমের বিশিষ্ট গবেষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে সেলফির পক্ষে বেশ কয়েকটি যুক্তি প্রকাশ করা হয়। যেমন নিজেকে অন্যের কাছে তুলে ধরা যায়, আবার অন্যেরা আপনাকে কেমন ভাবছে তাও সেলফির মাধ্যমে জানা যায়। সামাজিকভাবে সম্পৃক্ত হতে সাহায্য করে সেলফি।

উদাহারণ হিসেবে জাপানি শিশুদের একাকিত্ব ও বিভিন্ন অ্যানিমেটেড খেলা ছেড়ে সমাজে সম্পৃক্ত হতে সেলফি কীভাবে সাহায্য করেছে তা বিবৃত করা হয়। নিজেকে একজন মানুষ যতটুকু মনে করে সে যে তার চাইতে আরও বেশি বড় তা সেলফির মাধ্যমে প্রমাণ হতে পারে, হতে পারে দ্রুত যোগাযোগের বিকল্প। ‘আমার এই পোশাকটি কেমন’ সঙ্গে সঙ্গে সে অনেকের মতামত পেয়ে যায়, অন্যের কাছে স্বীকৃতি পাওয়ার মাধ্যমে সে তার চাহিদার সোপানের একধাপ ওপরে উঠে যেতে পারে, মনোবল বেড়ে যায়, সাজানো-গোছানো ফরমায়েশি ছবির চেয়ে সেলফি অনেক বেশি বাস্তবসম্মত ও প্রাকৃতিক। এতে প্রকৃত মানুষটিকে চেনা যায়, পর্যায়ক্রমিক সেলফির মাধ্যমে একজন মানুষের রুচি ও মানসিকতার পরিবর্তনও অনুসরণ করা যায়।

সেলফির এত গুণগান সত্ত্বেও সমস্যা মাঝেমধ্যে হয় বৈকি। যুক্তরাজ্যের ড্যানি বোম্যান বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছিলেন সেলফি নিয়ে। চলতি বছরের মার্চে ডেইলি মিরর-এ প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ১৯ বছর বয়সী বোম্যান মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন—যার কারণ সেলফি! তিনি তিন বছর আগে থেকে সেলফি পোস্ট করেন। কিন্তু তাঁর চেহারার বিষয়ে বন্ধুদের বক্রোক্তি নিয়ে তিনি বিচলিত হন এবং বছর দুয়েক ধরে প্রতিদিন গড়ে ২০০টি সেলফি পোস্ট করতে থাকেন, এর জন্য দিনে গড়ে ১০ ঘণ্টার মতো সময় ব্যয় করতেন। সেলফি না তুললে তাঁর তীব্র উৎকণ্ঠা হতে থাকত। একপর্যায়ে সুন্দর একটি সেলফি দিতে না পারার যন্ত্রণায় তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

উদ্ধারের পর মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানান, বোম্যানের বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার ও অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার নামের মানসিক সমস্যা রয়েছে। লন্ডনের মোউস্ডলে হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ভিয়ালে মন্তব্য করেন, সম্প্রতি সেলফিকেন্দ্রিক মানসিক সমস্যা নিয়ে তরুণ-তরুণীরা হাসপাতালে আসছে। গত বছরের এপ্রিলে সাইকোলজি টুডে-তে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে মনোবিশ্লেষক ড. পামেলা রূটলেজ সেলফির কারণে মানুষের আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন। তিনি মনে করেন, বেশি বেশি সেলফি পোস্ট যারা করে তারা মূলত একাকী ও তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস কম। আত্মপ্রেম বা নার্সিসিজমের সঙ্গেও সেলফির যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করেছেন গবেষকেরা। কোনো কোনো গবেষকের মতে, নার্সিসিস্টিক ব্যক্তিত্বের সমস্যার সঙ্গে মাত্রাতিরিক্ত সেলফি তোলার সম্পর্ক রয়েছে।

এ ধরনের ব্যক্তিত্বের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন তাঁরা নিজের গুরুত্ব, ক্ষমতা, সৌন্দর্য নিয়ে সব সময় আচ্ছন্ন থাকেন ও সেগুলোকে লালন ও প্রচার করতে আগ্রহী হন। এই বিবেচনায় এঁরা মাত্রাতিরিক্ত সেলফি ব্যবহার করতে পারেন বলে ধারণা করা হয়। সেলফির কারণে অনেক সময় ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হতে পারে, এটি প্রতিরোধে পারস্পরিক বোঝাপড়াটা জরুরি। অনেক সময় সেলফি তুলতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে—সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় চলন্ত গাড়িতে সেলফি তোলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গে জেনিয়া নামের এক তরুণী এ বছরের এপ্রিল মাসে তার ১৮তম জন্মদিনে একটি রেলব্রিজের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

সেলফি নিয়ে থাকতে পারে বিতর্ক। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের বিপ্লবের এই যুগে সেলফিকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। সেলফি তুলুন, পরিমিতভাবে।

আত্মবিশ্বাসী হোন, প্রকৃত নিজেকে সামনে এগিয়ে নিয়ে আসুন। নিজেকে অপরের কাছে মেলে ধরুন আপনার কাজ আর ভাবনা দিয়ে—সেই প্রক্রিয়ায় সেলফিও থাকবে কিন্তু পরিমিত পরিমাণে, শিষ্টাচারের মধ্যে থেকে।


সেলফির কিছু শিষ্টাচার
 আপনার সেলফিতে অন্যের মুখাবয়ব চলে এলে তার অনুমতি নিন।
 সামাজিক রীতি ও প্রচলিত আইন মেনে ছবি তুলুন।
 নিজের ও অপরের নিরাপত্তার দিকে মনোযোগ দিয়ে ছবি তুলুন ও পোস্ট করুন, অযথা ঝুঁকি নেবেন না।
 অপরের প্রতি সম্মান দেখান, হাস্যরসের নামে অশালীনতা যেন না প্রকাশ পায়।
 অন্যের সেলফিতে কটু ও ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য করবেন না।
 সেলফি তোলার সময় আশপাশের মানুষ যেন বিরক্ত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
 দলবেঁধে সেলফি তোলার সময় অপরের চলার পথ বন্ধ করবেন না।
 ভাবগম্ভীর অনুষ্ঠানে সেলফি তোলা থেকে বিরত থাকুন।
 সেলফির কারণে অপরের সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।
 সেলফি তোলা, পোস্ট করা ইত্যাদি আপনার কাজ, পড়ালেখা, চাকরি ও প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোকে বিঘ্নিত করছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
আরও পড়ুন

সকল মুসলিম ভাই, বোনদের জন্য অগ্রিম মাহে রমজান (২০১৫) ক্যালেন্ডার

পরম করুণাময় মহান আল্লাহর নামে, রমজান মাস খুবই নিকটে, সবাইকে অগ্রিম মাহে রমজানের শুভেচ্ছা। পবিত্র রমজানের সিয়াম সাধনায় সিগ্ধ হোক সকলের দেহ ও মন। আল্লাহপাক আমাদের সকলকে পবিত্র রমজানের সংযম শিক্ষা আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কাজে প্রয়োগ করার তাওফীক দিন। আমিন।
সবাইকে শুভেচ্ছা হিসেবে দিলাম মাহে রমজানের সেহরী ও ইফতারের ক্যালেন্ডার ২০১৫। শেয়ার করে অন্য ভাই বোনদেরও জানিয়ে দিন। সময়সূচীর ছবিটি আপনার পিসি বা ল্যাপটপের ডেস্কটপ ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবেও রাখতে পারেন ,চন্দ্র হিসেবে জুন মাসের ১৮ তম দিন থেকে রোজা শুরু হতে পারে। (চাঁদ উঠার উপর নির্ভর করবে) তাই আমাদের সকলেরই রমজানের ক্যালেন্ডারটি খুবই জরুরী।ক্যালেন্ডারটি সংগ্রহ করা হলে শেয়ার করতে ভূলবেন না। আপনারা চাইলেই নিচের লিঙ্কগুলো থেকে আপনাদের কপিটি সংগ্রহ করতে পারেন। ডাউনলোড লিঙ্ক এ কোন প্রবলেম হলে কমেন্ট এ জানাবেন।


উচ্চ কোয়ালিটি:


মধ্যম কোয়ালিটি:


আমার সকল পোষ্টের আপডেট পেতে আমার ফেসবুক পেজ এ লাইক দিন,
ফেসবুকে আমি "ব্লগার সৌরভ"
আরও পড়ুন

ইউটিউবের মজার ১০ টি তথ্য



অনেকেই কম্পিউটারে এখন আর আলাদা করে গান জমা রাখেন না। পছন্দের কোনো গান শুনতে ইচ্ছা হলে সার্চ দেন ইউটিউবে। সিনেমার ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। পিসিতে জমিয়ে রেখে হার্ডডিস্কের গিগাবাইট নষ্ট করতে চান না কেউ-ই। সংবাদ, বিনোদন সবকিছুর ক্ষেত্রেই আলাদা একটা অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে ইউটিউব। বিশ্বের সবচেয়ে  জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট। জনপ্রিয় এই সাইটের বেশ কিছু মজার তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

১. ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরু করে ইউটিউব। তিন প্রতিষ্ঠাতা শ্যাদ হার্লে, স্টিভেন চ্যান ও জাওয়াদ করিম। তিনজনই একসাথে কাজ করতেন অনলাইন লেনদেন প্ল্যাটফর্ম পেপ্যালে। কিন্তু ঝামেলা বাঁধে যখন পেপ্যালকে কিনে নেয় অনলাইনে নিলাম ওয়েবসাইট ইবে। তিনজনই চাকরি হারান। চাকরি যাওয়ার পর তাঁরা ভাবতে থাকেন নতুন কী করা যায়। এই সময় তাঁদের মাথায় আসে ইউটিউবের আইডিয়া। সেটা নিয়েই মাঠে নামেন তাঁরা।

২. আমাদের কাছে ভিডিও শেয়ারিং সাইট হিসেবে জনপ্রিয় ইউটিউব। তবে শুরুতে কিন্তু এমন হওয়ার কথা ছিল না। তিন উদ্যোক্তা একটি অনলাইন ভিডিও ডেটিং সাইট বানাতে চেয়েছিলেন। যেখানে একজন ব্যবহারকারী নিজের সম্পর্কে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে পারবেন, একই সাথে এ রকম অসংখ্য ভিডিও থেকে খুঁজে নিতে পারবেন নিজের পছন্দের মানুষটিকে!

৩. ইউটিউবের সহপ্রতিষ্ঠাতা জাওয়ান করিম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। বাংলাদেশি বাবা ও জার্মান মায়ের সন্তান জাওয়াদের জন্ম জার্মানিতে। যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া শেষে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন সেখানে। ইউটিউবে প্রথম ভিডিওটি আপলোড করেন জাওয়াদ নিজেই। মি অ্যাট দ্য জু (Me at the Zoo) শিরোনামের এই ভিডিওতে দেখা যায় জাওয়াদের চিড়িয়াখানা ভ্রমণের খানিক অভিজ্ঞতা। মাত্র ১৯ সেকেন্ডের এই ভিডিও এখন পর্যন্ত দেখা হয়েছে প্রায় ২৩ মিলিয়ন বার। প্রথম ভিডিও বলে কথা!

৪. অ্যালেক্সা রেটিং অনুযায়ী বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ভিজিট করা ওয়েবসাইটের তালিকায় ইউটিউবের অবস্থান তৃতীয়। ইউটিউবের উপরে থাকা দুটি ওয়েবসাইট যথাক্রমে ফেসবুক ও গুগল। তবে মজার ব্যাপার ইউটিউব কোনো সার্চ ইঞ্জিন না হওয়া সত্ত্বেও এখানে যতবেশি ‘সার্চ’ করা হয়ে থাকে তা বিং, আস্কডটকম ও ইয়াহুর মতো সার্চ ইঞ্জিনগুলোর মিলিত সার্চের চাইতে অনেক বেশি। সার্চের পরিমাণ হিসাব করলে গুগলের পরই ইউটিউবের অবস্থান।

৫. ইউটিউবের বিশালতা বোঝান যেতে পারে একটি ছোট পরিসংখ্যান দিয়ে। প্রতি সেকেন্ডে ইউটিউবে আপলোড হচ্ছে প্রায় দেড় ঘণ্টার সমপরিমাণ ভিডিও। আর একটু বড় করে বললে প্রতি মিনিটে প্রায় ১০০ ঘণ্টা অথবা প্রতি ঘণ্টায় ২৫০ দিনের সমপরিমাণ!  বছর শেষে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৮ শতাব্দীকাল! ইউটিউবের সব ভিডিও দেখে ফেলার কোনো পরিকল্পনা নিয়ে থাকলে মাথা  থেকে সে ভূত নামিয়ে ফেলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

৬. ইউটিউবের সবচেয়ে বেশিবার দেখা ভিডিওটি দক্ষিণ কোরিয়ান সংগীতশিল্পী সাইয়ের ‘গ্যাংনাম স্টাইল’ গানের মিউজিক ভিডিও। ২০০ কোটিরও বেশি বার দেখা হয়েছে ভিডিওটি। এর আগে এই অবস্থান ছিল কানাডিয়ান পপ শিল্পী জাস্টিন বিবারের দখলে। ‘বেবি’ শিরোনামের তাঁর গানটি এখন পর্যন্ত দেখা হয়েছে প্রায় ১১৬ কোটি বার।

৭. আপনার কাছে যদি পর্যাপ্ত অবসর থাকে তবে দেখে ফেলতে পারেন ইউটিউবের সবচেয়ে বেশি ব্যাপ্তির ভিডিওটি। এক-দুই দিনে কিন্তু হবে না, গুনে গুনে ২৫ দিন লাগবে পুরো ভিডিও দেখে শেষ করতে! ৫৯৬ ঘণ্টা ৩১ মিনিট ২০ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি বানিয়েছেন জোনাথান হেনড্রিক নামের একজন অ্যাপস ডেভেলপার। কী আছে এই অতিশয় লম্বা ভিডিওতে? জানতে সময় করে বসে পড়ুন একদিন!

৮. ইউটিউব কিন্তু এখন আর নিছক বিনোদনের কোনো সাইট নয়। জীবিকা হিসেবে কিন্তু অনেকেই ‘ইউটিউবার’ পেশাকে বেছে নিচ্ছেন। বিচিত্র ধরনের ভিডিও নির্মাণ ও আপলোডের মাধ্যমেই আয় করা সম্ভব ইউটিউব থেকে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে সারা পৃথিবীর প্রায় ৩০টি দেশের অন্তত ১০ লাখ ‘ইউটিউবার’ আয় করছেন শুধু ইউটিউবে সক্রিয় থেকে, আর এই ১০ লখের প্রায় অর্ধেকেরই একমাত্র পেশা এটি। বলাবাহুল্য, এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

৯. প্রতিবছর এপ্রিল ফুল পালন করে ইউটিউব। ব্যবহারকারীদের বোকা বানাতে বিভিন্ন রকম  আয়োজন করে তারা। ২০০৯ সালের পহেলা এপ্রিলের কথাই ধরা যাক। ইউটিউব সেদিন পুরো ওয়েবসাইটটিকেই উল্টো করে দিয়েছিল। ভিডিও দেখতে গিয়ে বেশ ঘাম ছুটে গিয়েছিল সবার!

১০. ইউটিউব প্রতিষ্ঠার মাত্র এক বছরের মাথায় টেক জায়ান্ট গুগল কিনে নিয়েছিল ইউটিউবকে। আর এ জন্য গুগলকে গুনতে হয়েছিল ১৬৫ কোটি ডলার। ইউটিউবকে কিনে গুগল অবশ্যই ভুল করেনি। শুধু ২০১৩ সালেই ইউটিউব থেকে গুগল আয় করে প্রায় ১৫০ কোটি ডলার।

Full Credit: তানভীর আহম্মেদ
আরও পড়ুন

ফেসবুকের অজানা ৭টি তথ্য



প্রতি মাসে ১৫০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী নিয়ে বর্তমানে শীর্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আসনটি গেঁড়ে আছে ফেসবুক। তবে ফেসবুকের এমন কিছু বিষয় আছে যা অনেকেই জানেন না।

ফেসবুকের এমনই কিছু অজানা তথ্য আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল:

১. ফেসবুকে ৭০ শতাংশ টিনএজার তাদের বাবা-মা'র বন্ধু তালিকায় রয়েছে।

২. ফেসবুকে ৬৬ শতাংশ টিনএজার কোন না কোনভাবে নির্যাতনের শিকার হয়।

৩. ফেসবুকে একজন ব্যবহারকারী যেদিন রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে, সেদিন তার অন্যান্য পোস্টে ইন্টারঅ্যাকশনের পরিমাণ ২২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। তবে মাত্র ২৮ শতাংশ বিয়ের এক ঘন্টার মধ্যে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে।

৪. যুক্তরাষ্ট্রে ১৯.৪ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষেত্রে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারে না। তবে দেশটির ৩০ শতাংশই আবার কর্মক্ষেত্রে ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে।

৫. বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফেসবুক ফ্যান আছে দ্য সিম্পসন-এর। এরপর আছে মি. বিন।

৬. ১০ কোটিরও বেশি ফ্যান নিয়ে ফেসবুকে সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগীত তারকা শাকিরা। ৯ কোটির বেশি ফ্যান নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন এমিনেম এবং ৮ কোটির বেশি ফ্যান নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রিহানা।

৭. ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী আছে কানাডায়।

তথ্যসূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
আরও পড়ুন

ফায়ারফক্স ফোনে চলবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ


২৫ ডলারের স্মার্টফোন দিয়ে স্মার্টফোন বাজারে প্রবেশ করেছিল মোজিলা। মূলত নিজস্ব ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেমকে জনপ্রিয় করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছিল মোজিলা। তবে কাঙ্ক্ষিত সাড়া পেতে ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি।

আর তাই এবার নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মোজিলা ফাউন্ডেশন। ২৫ ডলারের স্বল্পমূল্যের স্মার্টফোনের পরিবর্তে এবার মানসম্মত স্মার্টফোন তৈরির দিকে ঝুঁকছে এই প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে স্মার্টফোনের মূল্যও হবে বেশি। নতুন এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে 'ইগনাইট'।

মোজিলার প্রধান নির্বাহী ক্রিস বেয়ার্ডের পাঠানো অভ্যন্তরীণ এক ইমেইলের সূত্র ধরে এই খবর প্রকাশ করেছে সিনেট। মূলত স্মার্টফোন বাজারে শক্ত অবস্থান দখল করতে কী করা উচিত, সে বিষয়েই কথা বলা হয়েছে এই ইমেইলে। তার মতে, কম মূল্যের স্মার্টফোনের পরিবর্তে স্মার্টফোনে এমন কিছু যোগ করতে হবে যার ফলে মানুষ ব্যবহার করতে বাধ্য হবে।

আর এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ফায়ারফক্স ওএস চালিত স্মার্টফোনে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সাপোর্ট যুক্ত করার পরিকল্পনাও করছে মোজিলা। এই সুবিধা যুক্ত করা হলে ফায়ারফক্স ওএস ভিত্তিক স্মার্টফোন জনপ্রিয়তা পেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্রঃ Priyo.Com

আমার সকল পোষ্টের আপডেট পেতে আমার ফেসবুক পেজ এ লাইক দিন,
ফেসবুকে আমি "ব্লগার সৌরভ"
আরও পড়ুন

বাংলাদেশের সামনে রেঙ্কিং ছয়ে ওঠার হাতছানি



‘বাংলাদেশ তো এখন ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের আটে...।’ প্রশ্নকর্তা সাংবাদিককে থামিয়ে দিয়ে তামিম ইকবাল বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা সাতেই আছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে আমাদের রে​টিং তো সমান।’
আসলেই তা-ই। সাতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমান ৮৮ রেটিং পয়েন্ট বাংলাদেশের। মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের সামনে এখন ছয়ে উঠে আসার একটা সম্ভাবনা ঝিলিক দিচ্ছে। সমীকরণটা অবশ্য খানিকটা জটিল।
সেই হিসাবে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দলকে আগে নির্ভার হওয়ার জন্য আরেকটা সুখবর দেওয়া দরকার। আগামী বিশ্বকাপ সরাসরি খেলতে র‍্যাঙ্কিংয়ের আট নম্বরে থাকাটা খুবই জরুরি। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র‍্যাঙ্কিংয়ে আটের ভেতরে থাকতে পারলে আর বাছাই পর্ব খেলার ঝক্কিতে যেতে হবে না বাংলাদেশকে। আপাতত আট নম্বর জায়গাটি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে লড়াই নয়ে থাকা পাকিস্তানের।
ছয় বছর পর দেশের মাটিতে ক্রিকেট খেলতে চলেছে পাকিস্তান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজও আছে তাদের। বাংলাদেশ যদি ভারতের বিপক্ষে ০-৩ ব্যবধানে হেরেও যায়, আর পাকিস্তান যদি জিম্বাবুয়েকে ৩-০ ব্যবধানে হারায়; তবুও রেটিং পয়েন্টে কোনো পরিবর্তন আসবে না। পয়েন্টে হেরফের হলেও বাংলাদেশের রেটিং থাকবে ৮৮, পাকিস্তানের ৮৭।
ফলে রেটিং পয়েন্ট হারানোর ভয় বাংলাদেশের নে​ই। বরং আছে রেটিং পয়েন্ট বাড়ানোর সুযোগ। সিরিজে বাংলাদেশ একটা ম্যাচ জিতলে তাদের রেটিং হবে ৮৯, দুটো ম্যাচ জিতলে ৯৩। আর পাকিস্তানের মতো ভারতকেও বাংলাওয়াশ করতে পারলে রেটিং হয়ে যাবে ৯৬। বর্তমানে ছয়ে থাকা ইংল্যান্ডের রেটিং পয়েন্ট ৯৪।
সেই হিসাবে ভাবতে পারেন, বাংলাওয়াশ করলেই তো বাংলাদেশ ইংল্যান্ডকে টপকে যাবে। না, কারণ কাছাকাছি সময়ে ইংল্যান্ডও ওয়ানডে সিরিজ খেলবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেটিও নিজেদের দেশে। ৫ ম্যাচের সেই সিরিজে ইংল্যান্ড যদি ২-৩ ব্যবধানে হেরে যায়, তাহলে ৬ নম্বর জায়গাটি হয়ে যাবে বাংলাদেশের। তখন বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট হবে ৯৬, ইংল্যান্ডের ৯৪। গত বিশ্বকাপের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড যদি ৩-২ ব্যবধানে সিরিজটা ইংল্যান্ডের কাছে হারেও, তাতেও সুবিধা হবে বাংলাদেশের। তখন বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড দুদলেরই রেটিং হবে সমান—৯৬।
এসবই হিসাব করা হচ্ছে বাংলাদেশ ভারতকে ধবল ধোলাই করবে ধরে নিয়ে। কিন্তু যেমনটা আগেই বলা হয়েছে, বাস্তবতা বিবেচনায় বাংলাদেশ যদি ভারতকে ধবল ধোলাই নাও করতে পারে, অসুবিধা নেই। একেকটি জয় বাংলাদেশকে এনে দেবে একেকটি গুরুত্বপূর্ণ রেটিং পয়েন্ট। এভাবে ভাবলেও তো চলে! সবচেয়ে বড় কথা, এর পরই বাংলাদেশে খেলতে আসছে র‍্যা​ঙ্কিংয়ের চারে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের বিপক্ষেও বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট বাড়ানোর সুযোগ তো থাকছেই।
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটি তাই বাংলাদেশের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ওয়ানডে সিরিজ নেই। কিন্তু এ বছর বেশ ব্যস্ততায় কাটবে বাংলাদেশের। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার পর আসবে অস্ট্রেলিয়াও। এ বছর সেপ্টেম্বর ৩০-এর মধ্যে র‍্যাঙ্কিংয়ের সাতে উঠে আসতে পারলে বাংলাদেশের সামনে মিলবে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলার সুযোগও।
র‍্যাঙ্কিংয়ের সেরা সাত দল ও স্বাগতিক ইংল্যান্ড মিলে হবে এই টুর্নামেন্টটি। ২০১৯ বিশ্বকাপও যেহেতু ইংল্যান্ডে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হতে পারে বিশ্বকাপের ‘মহড়া’ টুর্নামেন্ট। সেই টুর্নামেন্টে খেলার অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই কাজে দেবে বিশ্বকাপে।


আরও পড়ুন

তামিমের যে অজানা সাত তথ্য আপনাকে অবাক করবে



বলা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ওপেনার তিনি। তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটা এসেছে সেই তামিম ইকবালেরই ব্যাট থেকে। তাই, তাকে সেরা মানতেই হচ্ছে।


তবে, আমাদের এবারের আয়োজন ক্রিকেটের বাইরের জীবন নিয়ে। চলুন জেনে নেয়া যাক তার ব্যাপারে অজানা সাত তথ্য...

১. ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্র তামিম ইকবাল ‘ও’ লেভেল ফাইনাল পরীক্ষায় চার বিষয়ে ফেইল করেন। ফেইল করার পেছনে একমাত্র কারণ ছিল তামিমের অতিরিক্ত ক্রিকেট প্রেম। পড়ালেখায় বারবার ব্যর্থ হতে দেখে তামিমের গৃহ শিক্ষক কামাল বুঝতে পারলেন তামিমকে দিয়ে আর পড়ালেখা হবেনা। গোপনে সে তামিমের হাত থেকে কলম কেড়ে নিয়ে তুলে দেয় ব্যাট-বল। এরপর থেকে বদলে যায় তামিমের জীবন।

২. তামিম ইকবাল চট্টগ্রামসহ দেশের প্রায় পনের থেকে বিশটা এতিমখানা দেখাশোনা করেন। এতিমখানা গুলো দেখাশোনা করতে প্রতি মাসে সে পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা ব্যায় করেন তিনি।

৩. একবার জাতীয় লিগে প্রথম ম্যান অব ম্যাচ পুরূস্কারের পুরো টাকা তামিম তার বাল্যবন্ধু ফারহানের মায়ের ক্যান্সারের চিকিত্সা বাবদ খরচ করে ফেলেন। ফারহান বন্ধুর এই অবদানের কথাটা এখনও সবাইকে বলে বেড়ায়।

৪. তামিমের স্বপ্ন ছিল তার বড় ভাই নাফিস ইকবালের সাথে একসাথে টেস্ট এবং ওয়ানডে ম্যাচে ইনিংস উদ্বোধন করার। কিন্তু ইনজুরির কারণে নাফিসের ক্যারিয়ার খুব বেশি লম্বা হতে পারেনি। সেজন্য ক্রিকেট থেকে যেদিন নাফিস দূরে সরে গিয়েছিলেন সেদিন তামিম নাফিসকে জড়িয়ে ধরে অনেক কান্নাকাটি করেছিল। এরপর নাফিস তামিমের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘এখন তুই এমন ভাবে ক্রিকেট খেলবি যাতে তোর খেলা দেখে সবাই বলে তামিম একলা একশ। দোয়া করি তুই যাতে অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারিস ভাই।’

৫. তামিম নিয়মিত ফরজ, সুন্নত, নফল এবং তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করেন। পুরোদস্তুর ধার্মিক হিসেবে একাধিকবার সে হজ্ব ও পালন করেছে। চলফেরা করার পথে যদি কোনো অসহায় চোখে পরে তামিম তাকে তত্ক্ষণাত আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।

৬. তামিম তার ভাল পারফরম্যান্সের জন্য মা, ভাই, স্ত্রী এবং চাচা আকরাম খানের দ্বিধাহীন সমর্থনকে মূল কারণ হিসেবে দেখান। ফর্ম না থাকা অবস্থায় তামিমকে নিয়ে যারা সমালোচনা করেন তাদের উদ্দেশ্যে তামিম বলেন, ‘আসলে ওরা সবাই আমাকে এবং ক্রিকেটকে অনেক ভালবাসে। আর ভালবাসে বলেই ক্রিকেট নিয়ে সমালোচনা করে। আর তাঁদের সমালোচনা থেকে আমরা ভাল খেলার প্রেরণা পাই।’

৭. পাকিস্তান-বাংলাদেশ সর্বশেষ সিরিজ শুরু হওয়ার ক’দিন আগে তামিম তার মাকে ফোন করে বললেন, ‘আম্মু তুমি দেখো আমি সিরিজের প্রায় সবকটি খেলায় হয় হাফ সেঞ্চুরি করব না হয় ফুল সেঞ্চুরি করব। একটা খেলায়ও শুন্য রানে আউট হবো না। তুমি আমার জন্য দোয়া করো।’

সূত্রঃ প্রিয় ডট কম

আমার সকল পোষ্টের আপডেট পেতে আমার ফেসবুক পেজ এ লাইক দিন,
ফেসবুকে আমি "ব্লগার সৌরভ"
আরও পড়ুন

অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের জনপ্রিয় দুটি File Manager


আশা করি সবাই ভাল আছেন, আমি ও আপনাদের দোয়ায় ভাল ই আছি
আজকে আমি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য নিয়ে আসলাম অত্যান্ত জনপ্রিয় দুটি File Manager
ES File Explorer এবং X-plore
নিচ থেকে File Manager দুটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এবং যার যেটা ভাল লাগে ডাউনলোড করে নিন

Download পেজে গিয়ে Download লিংক এ ক্লিক করে ডাউনলোড করতে পাররবেন

X-plore

About:
  1. নাম: X-plore File Manager
  2. ভার্শন: ৩.৭০.০১
  3. File Type: Apk
  4. File Size: ২.৩০ M.B
Feature:
  1. Zip এবং Rar ফাইল বানাতে পারবেন
  2. Zip এবং Rar ফাইল Extract করতে পারবেন
  3. নতুন টেক্সট ফাইল বানিয়ে পরে এডিট করতে পারবেন
  4. Disk Map দেখতে পারবেন
  5. Root, FTP, SMB
  6. Sqlite, Picasa
  7. 7zip explorer, ইত্যাদি
Screenshot:




Download




ES File Explorer

About:
  1. নাম: ES File Explorer
  2. ভার্শন: ৩.২.৫.১
  3. File Type: Apk
  4. File Size: ৪.৭ M.B
Feature:

১) ডাটা কেবল ছাড়া মোবাইলের ফাইল কম্পিউটারে দেখতে পারবেন

২) এক সাথে অনেক গুলো সফটওয়্যার আনইনেষ্টল করতে পারবেন

৩) সফটওয়্যারের ফাইল Extract করতে পারবেন

৪) এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে দ্রুত ফাইল ট্রান্সপার করতে পারবেন

৫) মোবাইলের পেট্রান ভুলে গেলে রিমোব করতে পারবেন

৬) প্রতেক পোল্ডার আলাদা ভাবে পাসওয়ার্ড দিতে পারবেন

৭) হোষ্ট ফাইল এডিট করতে পারবেন

আমার সকল পোষ্টের আপডেট পেতে আমার ফেসবুক পেজ এ লাইক দিন,
ফেসবুকে আমি "ব্লগার সৌরভ"
আরও পড়ুন

যে ৪ প্রকার "ক্ষতিকারক" মানুষও আসলে আপনার জন্য উপকারী


প্রতিদিন পৃথিবীর আর সবার সাথে তালে তাল মিলিয়ে পা ফেলে এগিয়ে যেতে হলে, ভবিষ্যতকে আরো অনেকটা বেশি সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে হলে অনেকটা উদ্যমের সাথে আপনাকে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। ঘরে-বাইরে নানা জায়গায় নিজেকে যোগ্য হিসেবে প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু এই ব্যাপারটা শুনতে বা বলতে যতটা সহজ লাগছে আদতে কিন্তু একেবারেই তা নয়। অনেক চড়াই-উৎরাই লুকিয়ে আছে এই জীবনের পথে। আছে অনেক মানুষও। আর তাই এই পথে হাঁটতে গেলে প্রতি পদেই আপনাকে পরিচিত হতে হবে নতুন নতুন মুখের সাথে। যাদের ভেতরে অনেকে কেবল আপনার ভালোই চাইবে না, চাইবে খারাপ কিছুও। কী ভাবছেন? এই ক্ষতিকর মানুষ গুলোকে খুঁজে পেলে সাথে সাথেই বাদ দিয়ে দেবেন নিজের দুনিয়া থেকে? না! একদমই সেটা করবেননা। কারণ এদের ভেতরেই লুকিয়ে থাকা কিছু বিষাক্ত মানুষের ক্ষতিকর দিকটিও আপনার জন্যে হতে পারে সফলতার পাথেয়। কীভাবে? জেনে নিন আর চিনে নিন ঠিক কোন ক্ষতিকর মানুষদেরকে আপনার দরকার।


১. যারা আপনার স্বপ্নকে অবিশ্বাস করে-
আপনি কিছু একটা করতে চান। কিন্তু সেটা করার সময় অথবা কখনো কখনো শুরু করার আগেই কিছু মানুষ বিষয়টা নিয়ে হাসি-তামাশা করতে থাকে আর বলতে থাকে আপনার স্বপ্নটা কতটা অবাস্তব? সাধারণ হিসেবে আপনি হয়তো তখুনি চাইবেন এই মানুষগুলোকে দূরে সরিয়ে দিতে বা তাদের মুখোমুখি হতে। কিন্তু সত্য বলতে কি এই মানুষগুলো আপনার কোন ক্ষতিই নয়, বরং ক্ষতির ছদ্মবেশে উপকারই করছে। অনেকেই নিজের কাজের সমালোচনা করার জন্য টাকা খরচ করে মানুষ রাখে। কারন সমালোচকরা যা বলবে সেটাই বাস্তব। কাছের আর ভালোবাসার মানুষদের চোখে একটা অদৃশ্য ছাঁকনি থাকে যা দিয়ে আপনার ত্রুটিগুলো সহজেই ছেঁকে ফেলেন তারা। আর তাই বিনে পয়সায় আপনার কাজকে আরো নিঁখুত করতে আর সামনের চ্যালেঞ্জগুলোকে পেরোবার জন্যে মনকে তৈরি করতে যারা পদে পদে আপনাকে সাহায্য করছেন তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া আপনার একেবারেই উচিত নয়।

২. চাপ সৃষ্টিকারী মানুষ-
মা-বাবা, প্রতিবেশী, ভাই-বোন, শিক্ষক, অফিসের বস, সঙ্গী- জীবনে চাপসৃষ্টিকারী মানুষের কি কমতি আছে? না! নেই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনি সেই চাপ থেকে পালাতে চাইবেন। অনেকেই চাপের হাত থেকে মুক্তি পেতে টাকা, সময়, সম্পর্কসহ অনেক কিছুই খরচের খাতায় ফেলে দেন। অনেক বড় বড় মানুষের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাব যে তারা ভালো কোন কাজ করে ফেলেছিলেন যে কোন রকমের চাপ থেকেই। ভাবতে খানিকটা অবাক করা লাগলেও আসলে এই চাপ প্রদায়ক মানুষেরা নিজেদের অজান্তেই আপনাকে আরো ভালো করার জন্যে ধাক্কা দিতে থাকে। তা সেটা দৃশ্যমান হোক, কিংবা অদৃশ্য!

৩. সুযোগসন্ধানী মানুষ-
প্রতিটা মানুষই জেনে অথবা নিজের অজান্তে কখনো না কখনো অন্যকে ব্যবহার করে। হয়তো আপনিও করছেন। কিন্তু যখনই বুঝবেন কেউ আপনার দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে আপনাকে ব্যবহার করে যাচ্ছে তাকে সরিয়ে দেবেন না নিজের থেকে। কারণ এতে করে অনেক সময় পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যেতে পারে। এর বদলে সেই মানুষটির সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দিন এবং চেষ্টা করুন কি করে দাবার ছক উল্টে দেওয়া যায়। এতে করে জীবনের অন্যসব সম্পর্ক নিয়েও আপনার ধারণা বদলাবে। আর এসব হবে কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই।

৪. যারা আপনাকে গুরুত্ব দেয় না-
প্রতিটা মানুষেরই একটা গোপন ইচ্ছে থাকে যে সবাই তাকে পছন্দ করবে এবং গুরুত্ব দেবে। কিন্তু সবসময় সেটা হয় না। আর এই মানুষগুলো যারা গুরুত্ব না দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছে আপনাকে সাধারণত তাদেরকে সরিয়ে দিতেই পছন্দ করেন আপনি, তাই তো? কিন্তু একবার কি ভেবে দেখেছেন এই মানুষগুলো আপনাকে এত মানুষের ভিড়ে নিজের আপনজনদের খুঁজে বের করার আগ্রহ দিয়ে যায় প্রতিনিয়ত। এছাড়াও এদের পরোয়া করিনা ভাবটাই আপনাকে নিজের পরিবার আর বন্ধুদের কাছে নিয়ে যায় অনেক বেশি।

সূত্রঃ লাইফহ্যাক

আমার সকল পোষ্টের আপডেট পেতে আমার ফেসবুক পেজ এ লাইক দিন,
ফেসবুকে আমি "ব্লগার সৌরভ"
আরও পড়ুন

গ্রিনরুমের তারার মেলায়.........


তাদের আদুরে নাম ‘ম্যাশকিন’। মেরিল প্রথম আলো তারকা পুরস্কার অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন এই দুজন – মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তাসকিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানের প্রায় পুরোটা সময় ছিলেন দর্শক সারিতে। একবার উঠেছিলেন মঞ্চে। সেখানে অনুষ্ঠান সঞ্চালক মোশাররফ করিম ও তিশা অনুরোধ করেছিলেন নাচতে। তবে, সেখানে ব্রায়ান ব্রাদার্সের বিখ্যাত চেস্ট-বাম্প দিয়েই কাজ চালিয়ে দেন দুই পেসার।

পড়ে, অনুষ্ঠান শেষে তাদের পাওয়া যায় গ্রিনরুমেই। অভিনয় শিল্পী ও অনুষ্ঠানের সঞ্চালক তিশা, মোশাররফ করিম ও পরিচালক মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর সাথে ছিলেন তাসকিন-মাশরাফিও। এমন সময় একটা সেলফি না হলে কি চলে!

সূত্রঃ প্রিয় ডট কম

আমার সকল পোষ্টের আপডেট পেতে আমার ফেসবুক পেজ এ লাইক দিন,
ফেসবুকে আমি "ব্লগার সৌরভ"
আরও পড়ুন

মানুষের গায়ের গন্ধ বুঝে কামড়ায় মশা



মশা নাকি যাকে তাকে কামড়ায় না। মশারাও নাকি মানুষের প্রেমে পড়ে। যাদেরকে ভালোলাগে, যাদেরকে ওরা ভালোবাসে শুধু তাদের রক্ত নিয়েই নাকি তৃষ্ণা মেটায়। তাইতো যাদের গায়ের গন্ধ ওদের ভালো লাগে, একমাত্র তাদেরকেই ওরা কামড়াতে পছন্দ করে।

আর এমনই এক প্রমাণ পেয়েছেন লন্ডনের এক দল বিজ্ঞানী।

তারা জানান, গায়ের গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে গন্ধ বিচার, মন মর্জির উপর বিচার করেই এই পতঙ্গ হূল ফোটায়। গবেষকরা মনে করছেন এই পার্থক্যটা সম্ভবত বংশগত। আটজোড়া আইডেন্টিয়াল ও ১৯ জোড়া নন আইডেন্টিকাল টুইনসদের নিয়ে লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন ও ট্রপিকাল মেডিসিন একটি পরীক্ষা করে। দুটো ভাগে ভাগ করা ওয়াই আকৃতির একটি টিউবে তারা বেশ কিছু মশাদের ছেড়ে দেন। উদ্দেশ্য ছিল পরীক্ষাধীন ব্যক্তিদের হাতের গন্ধে কীভাবে তারা আকৃষ্ট হয়।

আইডেন্টিকাল টুইনসদের ক্ষেত্রে জেনেটিক সাদৃশ্য যেহেতু বেশি তাই বহু ক্ষেত্রে তাদের গায়ের গন্ধও অনেকটা এক রকম। অপরদিকে, নন-আইডেন্টিকাল টুইনসদের ক্ষেত্রে জেনেটিক সাদৃশ্য যেহেতু তুলনামূলক কম তাই তাদের গায়ের গন্ধেও তেমন মিল নেই।

দেখা গেছে তারা যদি আইডেন্টিকাল যমজদের কোনও একজনকে কামড়ায় তাহলে অন্যজনকেও কামড়ায়। কিন্তু নন আইডেন্টিকালদের ক্ষেত্রে এই ধরণের কোনও মিল পাওয়া যায় নি। গবেষকরা আশা করছেন মশা নিয়ন্ত্রণে এই তথ্য নতুন পথ দেখাবে।

আমার সকল পোষ্টের আপডেট পেতে আমার ফেসবুক পেজ এ লাইক দিন,
ফেসবুকে আমি "ব্লগার সৌরভ"
আরও পড়ুন

অ্যান্ড্রয়েড ফোন দিয়ে কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করুন


আমি অনেক ল্যাপটপে সেটআপ দিয়ে দেখি তাদের ল্যাপটপ ওয়াইফাই সাপোর্ট না, কিন্তু তারা চায় ওয়াফাই দিয়ে নেট চালাতে অ্যান্ড্রয়েড ফোন দিয়ে এই সফট এবং Apps দিয়ে আপনি ওয়াফাই ছাড়া ল্যাপটপে অ্যান্ড্রয়েড ফোন দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। যিনি ল্যাপটপে ওয়াইফাই ছিল না তিনি এখন এই নিয়মে নেট চালায় এভাবে যাদের ওয়াইফাই চলে না বা নষ্ট তাদের জন্য অনেক কাজের আজকের টিউনটি।

তাহলে আসুন শুরু করা যাক আজকের টিউন টি।

প্রথমে এখান থেকে আপনার কম্পিউটার এর জন্য এবং আপনার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের জন্য Apps টি ডাউনলোড করে নিন।


তারপর চালু করুন।


আপনার মডেলটি অনুযায়ী সিলেক্ট করে Ok ক্লক করুন।


এবার Skip USB লেখা আসলে আপনার সেটটি কেবল এর সাহায্যে পিসির সাথে সংযুক্ত করুন।


এবার আপনার উপরের থেকে ডাউনলোড করার Android ফোন এর জন্য apps টি চালু করুন।
নিচের মত করে নিন।


তারপর পিসির টা চালু করুন । নিচের মত Connect দিয়ে ইন্টারনেট চালান কোন প্রকার সমস্যা ছাড়া।


ভাল লাগলে টিউমেন্ট করবেন।

আজ এই পর্যন্ত।
আল্লাহ হাফেজ

Full Credit: Hossain Mohammad

আমার সকল পোষ্টের আপডেট পেতে আমার ফেসবুক পেজ এ লাইক দিন,
ফেসবুকে আমি "ব্লগার সৌরভ"
আরও পড়ুন