মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি গ্রামে শরীফস এভিয়েশন ২০১৪ সালের জুনে প্রথমবারের মতো বোট ফ্লাইং সেবা চালু করে। উদ্দেশ চ্চতায় গিয়ে আকাশ ছোঁয়া। এখানে ফ্লাইং বোটের সঙ্গে একে একে বেছে নেয়া যায় স্কাইডাইভ, প্যারাসুট জাম্পও। আর তা নিয়ে এখন হই চই পড়ে গেছে সারাদেশে। আর এই আকাশে ওড়ারর কারিগর সানজাদুল ইসলাম সাফা।
পাইলটসহ দুই আসনের বোটটি ৭ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে। তবে নিরাপত্তার জন্য উচ্চতা ১ হাজার ৫০০ ফুটের মধ্যে রাখা হয়। আবহাওয়া ভালো থাকলে শুক্র ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আকাশে উড়ানো হয়। বাতাসের গতিবেগ ২৫ কিলোমিটারের নিচে উড্ডয়ন উপযোগী। অস্ট্রিয়ার তৈরি রোটেক্স এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনটি টু-স্টোক ও ৬৪ হর্স পাওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন।
বোটটি ইতালির পোলারিশ মোটর কোম্পানির। ইঞ্জিন বন্ধ করে দিয়েও পাখার সাহায্যে নিরাপদে অবতরণ করতে পারে বোটটি। ৪৫০ কেজির মোট ধারণক্ষমতার খালি বোটটির মূল ওজন ২১৬ কেজি। ৪৫ লিটার জ্বালানি নিয়ে উড়তে সক্ষম বোটে অকটেনের পাশাপাশি ২ শতাংশ মবিল ব্যবহূত হয়। এ জ্বালানি দিয়ে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট উড়তে সক্ষম। আকাশে সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার এবং পানিতে ৭০ কিলোমিটার।
আরোহণের খরচ,
১০ মিনিট ২ হাজার ২০০ টাকা, ১৫ মিনিট ৩ হাজার, ৩০ মিনিট ৫ হাজার এবং ১ ঘণ্টা ১০ হাজার টাকা। এছাড়া ছবি ও ভিডিওর জন্য আলাদা অর্থ পরিশোধ করতে হবে। যাওয়ার আগে আবহাওয়া অবস্থা জেনে ও যোগাযোগ করে যাওয়া ভালো।
আপনিও চাইলে এবার আকাশে উড়তে পারেন।
সূত্রঃ সময়ের কন্ঠস্বর
আমার ব্লগের সকল পোষ্ট একসাথে ফেসবুকে পেতে, আমার ফেসবুক পেজে লাইক দিন,