হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা মতো কাঁধে ঝোলা আর মূখে আঞ্চলিক গানের অকৃত্রিম সুর বাঁশিতে তুলে অবিরত ৩৫ বছর ধরে হাঁটছেন
ক্লান্তিহীন পথিকের বেশে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে হ্যামিলনের বাঁশিওলার মতো কাঁধে ঝোলা আর মূখে আঞ্চলিক গানের অকৃত্রিম সুর বাঁশিতে তুলে অবিরত হাঁটছেন।
“প্রাণ সখিরে ওই শোন কদম্ব তলায় বংশী বাজায় কে” এমনি পাগল করা সুর যিনি বাশিঁতে তোলেন তাকে আমরা সাধারনত বলে থাকি বাঁশিওয়ালা। তার বয়স ৫০ এর কাছাকাছি। এভাবে বাঁশি বিক্রির আয় দিয়ে ছয় সদস্যের সংসার চালাচ্ছেন সুশীল চক্রবর্তী।
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে তার বাড়ি। শিশুকাল থেকেই সুশীল চক্রবর্তী ছিলেন ভবঘুরে। সংসার চালতে গিয়ে নিত্য চাহিদা মেটাতে বেকায়দায় পড়েন তিনি। নিজের বাঁশি বাজানোর বিদ্যাটুকু কাজে লাগিয়ে খুঁজে নেন চলার শক্তি। আর এভাবে দীর্ঘ ৩ যুগ ধরে এ বাঁশির ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
সুশীল চক্রবর্তীর সাথে গতকাল আলাপকালে তিনি জানান, ৩০/৪০ টাকা ধরে একটি মুলি বাঁশ কিনে তা থেকে ৭/৮টি বাঁশি তৈরী করি। আর ওই বাঁশি ২০টাকা থেকে শুরু করে ছোটগুলো ৩০টাকা আবার বড় মোহন বাঁশিগুলো ৩ থেকে ৫শত টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এতে প্রতিদিন ২থেকে ৩শত টাকা আয় হয়। এ দিয়ে ১ছেলে, ৩মেয়ে লেখা পড়া ও স্ত্রীকে নিয়ে কোন রকম সংসার চলে।
বাঁশি সর্ম্পকে তিনি আরো বলেন, বাশিঁর সুর কখনো বিক্রি হয় না। এটি আমার আত্মার খোরাক। তাই এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংস্কৃতি অঙ্গনে পরিবেশনের সুযোগ পেলে নিজেকে ধন্য মনে করতাম।