মশা নাকি যাকে তাকে কামড়ায় না। মশারাও নাকি মানুষের প্রেমে পড়ে। যাদেরকে ভালোলাগে, যাদেরকে ওরা ভালোবাসে শুধু তাদের রক্ত নিয়েই নাকি তৃষ্ণা মেটায়। তাইতো যাদের গায়ের গন্ধ ওদের ভালো লাগে, একমাত্র তাদেরকেই ওরা কামড়াতে পছন্দ করে।
আর এমনই এক প্রমাণ পেয়েছেন লন্ডনের এক দল বিজ্ঞানী।
তারা জানান, গায়ের গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে গন্ধ বিচার, মন মর্জির উপর বিচার করেই এই পতঙ্গ হূল ফোটায়। গবেষকরা মনে করছেন এই পার্থক্যটা সম্ভবত বংশগত। আটজোড়া আইডেন্টিয়াল ও ১৯ জোড়া নন আইডেন্টিকাল টুইনসদের নিয়ে লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন ও ট্রপিকাল মেডিসিন একটি পরীক্ষা করে। দুটো ভাগে ভাগ করা ওয়াই আকৃতির একটি টিউবে তারা বেশ কিছু মশাদের ছেড়ে দেন। উদ্দেশ্য ছিল পরীক্ষাধীন ব্যক্তিদের হাতের গন্ধে কীভাবে তারা আকৃষ্ট হয়।
আইডেন্টিকাল টুইনসদের ক্ষেত্রে জেনেটিক সাদৃশ্য যেহেতু বেশি তাই বহু ক্ষেত্রে তাদের গায়ের গন্ধও অনেকটা এক রকম। অপরদিকে, নন-আইডেন্টিকাল টুইনসদের ক্ষেত্রে জেনেটিক সাদৃশ্য যেহেতু তুলনামূলক কম তাই তাদের গায়ের গন্ধেও তেমন মিল নেই।
দেখা গেছে তারা যদি আইডেন্টিকাল যমজদের কোনও একজনকে কামড়ায় তাহলে অন্যজনকেও কামড়ায়। কিন্তু নন আইডেন্টিকালদের ক্ষেত্রে এই ধরণের কোনও মিল পাওয়া যায় নি। গবেষকরা আশা করছেন মশা নিয়ন্ত্রণে এই তথ্য নতুন পথ দেখাবে।
আমার সকল পোষ্টের আপডেট পেতে আমার ফেসবুক পেজ এ লাইক দিন,
ফেসবুকে আমি "ব্লগার সৌরভ"